শাহরাস্তি প্রতিনিধি ঃ
শাহরাস্তিতে আক্রোশ বশত দোকানে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার সকালে উপজেলার সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের নরিংপুর গোলদার বাড়ি সম্মুখে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ব্যক্তি সূত্রে জানা যায়, ওই বাড়ির আসলাম মিয়ার ছেলে মাইনুদ্দিন (৪২) বাড়ির পাশ্ববর্তি রাস্তার উপর ক্ষুদ্র পুঁজি নিয়ে চায়ের দোকানের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। ঘটনার আগের দিন গত শনিবার সকালে তিনি দোকানে এসে ভেতরে ঢুকে উত্তর পাশে সিঁদ কাটার দৃশ্য দেখতে পান। দোকানে ঢুকার পূর্বে তিনি পাশ্ববর্তি স’মিলের মালিক বদরুল আলমের পুত্র সৌরভকে দোকানের পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। ভেতরে ঢুকে ওই দৃশ্য দেখার পর তিনি বদরুল আলমকে বিষয়টি অবগত করেন এবং সৌরভ ঘটনাটি ঘটিয়েছে কি না জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বলেন। বদরুল আলমকে বিষয়টি জানালে তিনি উত্তেজিত হয়ে মোটর সাইকেল যোগে স্থানীয় নরিংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার পুত্র সৌরভকে বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলে যান। পুরো দিন বিষয়টি সম্পর্কে কিছু না বলে তিনি সন্ধ্যা মুহুর্তে মাইনুদ্দিনকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে কোরআন শপথ করে সৌরভ ঘটনাটি ঘটিয়েছে কি না বলতে বলেন। মাইনুদ্দিন তাকে সৌরভ-ই ঘটিয়েছে এমন কথা না বলে তাকে দোকানের আশ পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বলেন। ওই সময় দু’জনের বাকবিতন্ডার মাইনুদ্দিন ফিরে আসার চেষ্টা করলে বদরুল ইসলাম তাকে ঘরের ভেতরে দরজা বন্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে মাইনুদ্দিন ধস্তাধস্তি করে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। পরদিন গত রোববার সকালে মাইনুদ্দিন দোকানে ব্যবসা পরিচালনা অবস্থায় বদরুল আলম একটি বাঁশের টুকরা নিয়ে তার উপর হামলা করে। এতে মাইনুদ্দিন গুরুতর আহত হয়ে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
আহত মাইনুদ্দিন জানান, আমি সৌরভকে দোকানে ঢুকতে দেখি নি। তবে দোকান খোলার সময় তাকে পাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে বদরুল আলমকে বিষয়টি জানিয়েছে। কারণ বিগত ৩ বছর পূর্বে আমার দোকানে একই ভাবে সিঁদ কেটে চুরি হয়েছে। ওই ঘটনা সৌরভ ঘটিয়েছে এমনকি স্থানীয় ভাবে সালিশ বৈঠক করে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ওই সুবাদে আমি তাকে সন্দেহ করেছি। ওই ঘটনার গত ৩ দিনের বিক্রির নগদ ২ হাজার টাকা ও দোকানের বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়েছে। বদরুল আলম পূর্বের আক্রোশে উত্তেজিত হয়ে আমার উপর হামলা করেছে। এতে আমার হাত ও কাঁদে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হই। এছাড়া হামলার কারণে আমার দোকানের বিভিন্ন মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাছাড়া আমি হাসপাতালে ভর্তি থাকাবস্থায় বদরুল আলম আমাকে দেখতে এসে কোন সান্ত¦না না দিয়ে উল্টো আমাকে না বলে হাসপাতাল থেকে সিট কেটে দেয়। ঘটনার পর থেকে সে ও তার স্ত্রী নরিংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মালেকা বেগম বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করি।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।