শাহরাস্তি প্রতিনিধিঃ
শাহরাস্তিতে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে আহলে হাদীস কর্মীদের হামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। আহতরা শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত নেতাকর্মীরা জানান, আহলে হাদীস জঙ্গিমতাদর্শে বিশ্বাসী কর্মীরা চলতি বৎসরের ২৮জানুয়ারী উপজেলার সূচীপাড়া (দঃ) ইউনিয়নের দশনা পাড়া মোল্লা বাড়ি ঈদগাঁ মাঠে এক মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। অজ্ঞাত কারণে শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসন আহলে হাদীস জঙ্গিমতাদর্শ ভিত্তিক সংগঠনের মাহফিল বন্ধ করে দেয়। এই নিয়ে আহলে হাদীস কর্মীরা স্থানীয় দশনা পাড়া গ্রামের আলী আহমদের পুত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগসহ কয়েক জনকে দায়ী করে। ওই বিষয় নিয়ে তারা গ্রামে নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধমকি প্রদর্শণ করে। গত শুক্রবার স্থানীয় দশনা পাড়া গ্রামের ঈদগাঁয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেন। ওই আলোচনা সভায় আহলে হাদীদের কয়েকজন নেতাকর্মী দাওয়াত না দেওয়া শর্তে আলোচনা সভায় গিয়ে বিভিন্ন উষ্কানিমূলক আচরণ প্রদর্শনের চেষ্টা চালায়। স্থানীয় এলাকাবাসী বিষয়টি মিমাংশার করে। পরদিন শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় আওয়ামীলীগ নেতা জাকির হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ স্থানীয় দশনা পাড়া গ্রামের শাহ আলমের চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এসময় আহলে হাদীসের কর্মী মহসিন শেখ (৩০), পিতাঃ মৃত নুরুল ইসলাম, আবদুল হান্নান ফরিদ (৩২), পিতাঃ আবদুল মান্নান, আক্তার হোসেন (২৬), পিতাঃ খলিলুর রহমান, মাসুদ (২৮), পিতাঃ খলিলুর রহমান, শাহাজাহান (৩৫), পিতাঃ খলিলুর রহমান, মোঃ হানিফ (২৮), পিতাঃ গোলাম মোস্তফা, মোঃ হানিফ (২২), পিতাঃ শামছুল হক ভান্ডারী, আবদুস সাত্তার (৩৫), পিতাঃ সাইদুর রহমান, আমির হোসেন (৪৪), পিতাঃ জাফর, আবদুস সাত্তার (২৪) পিতাঃ গোলাম রহমার, মোঃ অদুদ (৪০), পিতাঃ গোলাম রহমান, জাহাঙ্গীর (২৮), পিতাঃ ফজলুল রহমান ও আবদুল কাদের সুমন (২৫) পিতাঃ আমির হোসেন সহ ২০ থেকে ২২ জন দুষ্কৃতিকারীরা হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা জাকির হোসেন সহ চায়ের দোকানে অবস্থিত নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় আহলে হাদীস কর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জাকির হোসেন (৩৮), পিতাঃ আলী আহম্মদ, যুবলীগ নেতা রাশেদ (২৬), পিতাঃ আবদুল হান্নান, ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ (২০), পিতাঃ দ্বীন মোহাম্মদ, সৈকত (২৩), পিতাঃ নুরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক (২৫), পিতাঃ হানিফ মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা এমরান হোসেন (২২), পিতাঃ শুকুর আলী সহ দোকানে অবস্থানরত সাধারণ লোকজন সহ কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়েছে। এঘটনায় স্থানীয় এলাকা জুড়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি চলছে।