চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে নওরোজ আফরিন প্রিয়া (২১) নামে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিন ইউনিয়নের আহাম্মদ নগর ছোটপোদ্দার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে প্রিয়ার লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রিয়া ছোটপোদ্দার বাড়ীর প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের একমাত্র মেয়ে। তার স্বামী হৃদয় চৌধুরী কুমিল্লায় চাকরি করেন। প্রিয়ার স্বামীর বাড়ী কুমিল্লায়। তার অহনা (২) বছর বয়সি একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে লোকজন জড়ো হয়। তখন প্রিয়ার মরদেহ তার শয়ন কক্ষে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নিহতের মা রুমি আক্তার জানান, প্রিয়ার মেয়ে আহনা অসুস্থ। তার জন্য ঔষধ আনতে পাশের বাড়িতে স্থানিয় এক গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে যাই। ওখান থেকে এসে দেখি আমার মা নেই। পুরো রুমে রক্ত আর রক্ত। পড়ে আছে খাটিয়ায় তার নিথর দেহটা। তিনি আরও বলেন, কে বা কারা এঘটনা ঘটিয়েছে তা আমার জানা নেই। এতো বড় শত্রু আছে বলে জানিনা।
প্রিয়ার একমাত্র ভাই পরশ জানান, ওই সময় আমি বাসায় ছিলাম না। কি হয়েছে আমি জানিনা। আপুকে কুমিল্লায় বিয়ে দেয়া হয়েছে। দুলাভাই হৃদয় চৌধুরী আমাদের এখানে ৫ দিন বেড়িয়ে আপুকে রেখে কুমিল্লায় চলে যান। কে আমার আপুকে এভাবে হত্যা করলো তা জানিনা। তাদেরকে আটক করে শাস্তি দাবি জানাই।
স্থানিয়রা জানায়, পরোকীয়া জনিত কারণে এমন ঘটনা হতে পারে। তবে এই পরিবারের সাথে কারও পূর্ব শত্রুতা নেই।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মান্নান বলেন, প্রিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কচুয়া-শাহরাস্তি সার্কেল) মো. আবুল কালাম, শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল মান্নান, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. মোর্শেদুল আলম ভুঁইয়া, খিলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম বলেন, তদন্ত চলছে। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট কাউকে এখনো আটক করা হয়নি। লাশ ময়না তদন্ত শেষে তার স্বজনদের কাছে পুলিশ হস্তান্তর করেছে।