হাসানুজ্জামান,
বিধবা আঙ্কুরের নেসার বসতের ঘর নেই। বিষয়টি ওই এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ওয়ার্ড-ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মিরা অবহিত নন। যা অত্যন্ত দুঃখ জনক। এভাবেই হয়তো আরও পড়ে আছে অজানা অন্ধকারে অসহায় গৃহহীন কত মানুষ। জানা যায়,চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের কোয়ার গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের স্ত্রী আঙ্কুরের নেছা নিচক এক ঝুঁপড়িতে বসবাস করেন। সরকারী ঘর যাদের জন্য প্রযোজ্য তারাই আজ বঞ্চিত। তাদের মধ্যে আঙ্কুরের নেছা অন্যতম। এব্যাপারে আঙ্কুরের নেছা জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর ছোট ছেলেকে বুকে জড়িয়ে হাজারো স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি। চোখে অন্ধকার আর মুখে অভাবের ছাপ। উপার্জন করার মত কেউ নেই, নেই চাষাবাদ করার মত জমি-জিরাত। স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ সম্ভল এক টুকরো ঘর ভিটি বুকে আগলে রেখেছেন। ওই ভিটিতে রয়েছে একটি ঝুঁপড়ি আর সেখানেই থাকেন আঙ্কুরের নেছা। সরেজমিনে দেখা যায়, কেটে যাওয়া বর্ষার অনর্গল বারিধারা শেষে আসা-যাওয়া বৃষ্টির পানি আর জল-কাদা থকথকে গৃহতলীতেই কেটছে তাদের দিন-রাত। ভোরের ফরসা আলোয় আগত বৃষ্টির ছোঁয়া নিয়ে বের হতেন রিজিকের সন্ধানে। কেউ পাশে না থাকলেও বৃষ্টি আর শীত দুটোই তাদের আপন। নিরুপায় নামের শব্দটি তাদের জীবনকে ঘিরে কষ্টাবৃত করেছে। চাঁদপুর-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয়ের হস্তক্ষেপ ও সুনজর দানের মাধ্যমে মনোহর আলীর মত আঙ্কুরের নেছাও শেষ বয়সে পেতে পারেন নিরাপদ আশ্রয়ের কাংখিত একটি গৃহ।