শাহরাস্তিতে ৩ সন্তানের জননীসহ বেরনাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করেছে এলাকাবাসি। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মনোহরগঞ্জ উপজেলার চনুয়া গ্রামের প্রবাসী সিরাজুল হক মনু মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে বেশ কিছু দিন যাবত এলাকাবাসির মধ্যে আলোচনার ঝড় বহিতে থাকে। গতকাল ১৮ ডিসেম্বর সকালে জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমেনা বেগম জাহাঙ্গীরের বাড়িতে আসে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসি আমেনা বেগমের আসার সংবাদ পেয়ে তাদের আটক করে রাখে।
এরপর জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে এসে এ দৃশ্য দেখতে পায়। ঘটনার সংবাাদ পেয়ে উঘারিয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ফারুক হোসেন ও মডেল থানার এআই নিজাম উদ্দিন সঙ্গীয় সোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। আমেনা বেগম জানান, রমজানের ঈদের পর তাদের চাঁদপুর কোর্টে বিবাহ হয়েছে। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলম বিবাহের কথা স্বীকার করলেও পরবর্তীতে তিনি জানান, জনগনের তোপের মুখ থেকে বাঁচতে তিনি বিবাহের কথা বলেছে। এরপর শাহরাস্তি থানা পুলিশ উভয়কে আটক করে নিয়ে আসে। পুলিশ তাদের শাহরাস্তি থানায় না এনে খিলা বাজার থেকে তাদেরকে মনোহরগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম শাহরাস্তি উপজেলার আহম্মদ নগর গ্রামের আবদুল ওহাবের পুত্র। তিনি বর্তমানে বেরনাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শাহরাস্তি উপজেলার সীমান্তবর্তী শিবপুর গ্রামে কাশেম ভিলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। জাহাঙ্গীর আলম ৪ কণ্যা সন্তানের জনক। এর মধ্যে ২ কণ্যা সন্তানকে বিবাহ দিয়েছেন। আমেনা বেগমের স্বামী দুবাই প্রবাসী। তিনি ৩ কণ্যা সন্তানের জননী। এর মধ্যে এক কণ্যাকে বিবাহ দিয়েছেন।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বেশ কিছু নারী কেলেংকারীর ঘটনা রয়েছে। বেশ কয়েক বছর পূর্বে নারী কেলেংকারী ঘটনায় ষ্টীলের আলমারির চাপায় তার হাতের সবগুলো আঙ্গুল কেঁটে যায়। সে থেকে তিনি আলমারি জাহাঙ্গীর নামে এলাকায় পরিচিত।
শিরোনাম:
বুধবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।