মোঃ আমিনুল ইসলাম ঃ
বাঙ্গালী সংস্কৃতি বিশ্বজুড়ে প্রসিদ্ধ থাকলেও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে নানা উৎসব। পৌষ-পার্বনসহ শীতের পিঠাও হারাচ্ছে একই পথে-তাই গ্রাম বাংলার পিঠা উৎসব মানে আগামী প্রজন্মের কাছে সংস্কৃতিময় বাঙ্গালাকে তুলে ধরা। কথা গুলো বলেছেন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামিউল মাসুদ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় শাহরাস্তি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করফুলেন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ কর্তৃক আয়োজিত এ পিঠা উৎসবে ৬১ জন শিক্ষার্থী মোট ৫টি স্টলের মাধ্যমে সু-স্বাদু নকশা খচিত বহু প্রকার পিঠা প্রদর্শন করে। স্টল গুলোর নাম হৃদয় ছোঁয়া, হিমেল ছোঁয়া, শিহরিত সকাল, স্বাদের মেলা ও সাজ-ঘর পিঠা পুলি। স্টল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় ৪২ প্রকার পিঠা প্রদর্শন করেছে শিহরিত সকালের ১৩ শিক্ষার্থী। আর সাজ-ঘর পিঠা পুলির ১৪ জন শিক্ষার্থী প্রদর্শন করে ৩৩ প্রকার পিঠা। অন্যদিকে হিমেল ছোঁয়ার ১৫ শিক্ষার্থী ও স্বাদের মেলার ১২ জন উভয় স্টলে উঠেছে সমান ২৬ ধরনের পিঠা। হৃদয় ছোঁয়ার ৭ জন শিক্ষার্থী ১৫ ধরনের পিঠা তৈরী করে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কলেজ অধ্যক্ষ লায়লা আরজুমান্দ বানু, সহকারী অধ্যাপক একেএম মাহবুবুল হক, জাহানারা বেগম, প্রভাষক মোশারফ হোসেন, মোঃ তারেক বিন আলী, মোঃ হাসানুজ্জামান, শিল্পী হালদার প্রমুখ।