চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে পিতৃহীন সায়মা ও সাঈফের পড়াশুনার দায়িত্ব নিল মিয়া রহিমা ফাউন্ডেশন। পরিবারের দূর্দিনে ২ অবুঝ শিশুর দায়িত্ব নিয়ে তাদের শিক্ষার পথ সুগম করায় খুশি এলাকার লোকজন।
জানা যায়, শাহরাস্তি পৌরসভার করবা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আবুল হোসেন (৩৫) গত ২১ এপ্রিল লিভার সিরোসিসে ভুগে মারা যান। পেশাগত জীবনে তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিজের আয়ের উপর নির্ভরশীল আবুল হোসেনের পরিবারে সুখের অভাব ছিল না। স্ত্রী, মেয়ে সায়মা ও পুত্র সাঈফকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন সুখের নীড়। পাকা বাড়ি তৈরির কাজে হাত দেন আবুল হোসেন। হঠাৎ করেই তার লিভারের সমস্যা ধরা পড়ে। আস্তে আস্তে তা প্রকট হতে প্রকটতর হয়ে উঠে। জমানো টাকা শেষ করে ধার-দেনা করে চলতে থাকে তার চিকিৎসা। গত মাসের ২১ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবুল হোসেন। মেয়ে সায়মা ও পুত্র সাঈফকে নিয়ে অকুল পাথারে পড়েন আবুল হোসেনের স্ত্রী। অসমাপ্ত বাড়ির কাজ আর দায়-দেনায় চিন্তাক্লিষ্ট হয়ে পড়েন তিনি। হু হু করে কাঁদতে থাকে দুই অবুঝ শিশুর ভবিষ্যৎ চিন্তায়।
এ সময় এগিয়ে আসেন ওই গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মিয়া রহিমা ফাউন্ডেশন। তাদের জন্য বাড়িয়ে দেয় সহমর্মিতার হাত। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সায়মা ও সাঈফের সকল শিক্ষাবর্ষের সব ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেয়া হয় ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে। দুই এতিম শিশুর পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণায় উজ্জীবিত এলাকার লোকজন। মহতি এ কাজের জন্য রীতিমত প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে সংগঠনটি।
মিয়া রহিমা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইয়াসিন মিয়াজী জানান, দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য আমরা সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রতি বছর শীত বস্ত্র বিতরণ ও দরিদ্র কন্যা দায়গ্রস্থ পিতাদের আর্থিক সহায়তায় আমাদের সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। যাকাতের অর্থ ক্ষুদ্র অংশে ভাগ না করে আমরা প্রতি বছর একজন করে অসহায়কে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছি।
সংবাদদাতা/চাঁদপুরনিউজ/