স্টাফ রিপোর্টার:
পরীক্ষা শুরুর পূর্বে প্রশ্ন ফাঁস করে উত্তর লিখে নকল সরবরাহের প্রস্তুতিকালে হাতেনাতে ধরে এক জনকে ছয় মাসের কারাদ- ও চার জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যামাণ আদালত।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শাহরাস্তির সূচিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে। এইচএসসি পরীক্ষার মঙ্গলবার ছিলো আইসিটি বিষয়ের পরীক্ষা। উক্ত পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা পূর্বে অর্থাৎ সকাল ৯টায় সূচিপাড়া ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী শামসুল আলম, সহকারী অধ্যাপক আঃ মজিদ ও আতিকুল ইসলাম মিলে প্রশ্ন ফাঁস করে একটি কক্ষে বসে উত্তরপত্র লিখে নিজ কলেজের শিক্ষার্থীদের সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল মাসুদ ঐ কক্ষে গিয়ে প্রশ্নসহ তাদের হাতেনাতে ধরে পেলেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জানা যায়, কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির ভঁূইয়া ও উপাধ্যক্ষ হুমায়ূন কবির পাটওয়ারীর নির্দেশেই তারা এ কাজটি করছিলেন। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথাও লিখিতভাবে স্বীকার করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তিনি ঐ কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা বোর্ডে পত্র প্রেরণ, কলেজের অফিস সহকারীকে ৬ মাসের কারাদ- ও দুই সহকারী অধ্যাপককে ৮ ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। ইউএনও সামিউল মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় পুরো শাহরাস্তি জুড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।