শওকত আলী
শাহরাস্তি উপজেলার উয়ারুক বাজারে মেডিল্যাব স্পেশালাইজড হসপিটালের সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হসপিটাল ও ক্লিনিক সমূহ এবং লাইন ডাইরেক্টর হসপিটাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্টের পরিচালক ডাঃ আবুল কায়সার মাহমুদ সাইদুর রহমান। তিনি চলতি বছরের গত ৫ এপ্রিল (স্মারক নং স্বাঃ অধিঃ/ হাসঃ/ চট্টঃবিঃ/ বিবিধ-২/২০১৫/৬৩১) স্বাক্ষরিত পরিপত্রটি চাঁদপুর সিভিল সার্জেন বরাবর প্রেরণ করেন।
সিভিল সার্জেনের কাছে প্রেরিত পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া কোন বেসরকারি হাসপাতাল/ ডায়াগণষ্টিক চালানোর সুযোগ নাই। তাই চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার উয়ারুক বাজারের মেডিল্যাব স্পেশালাইজড হসপিটালের সকল কার্যক্রম বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হইল। বিধি মোতাবেক লাইসেন্স প্রাপ্ত হইলে পুনরায় কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেওয়া যাইতে পারে।
একই তারিখে পরিপত্রটি সিভিল সার্জেন ছাড়াও অনুলিপি হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), ড্রীম আর্কিটেক্ট চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সিভিল ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের নিকট প্রেরণ করা হয়।
গত সোমবার বিকেলে সরজমিনে গিয়ে উয়ারুক বাজারের এই হাসপিটালে গিয়ে দেখা গেছে সকল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যার ভিডিও চিত্রধারণ করা হয়েছে। রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে হসপিটালটির নানান অনিয়মের কথা।
সোমবার বিকেলে হসপিটালের রোগীদের সাথে কথা বলা ও চিত্রধারণ করার সময় মেডিল্যাব স্পেশালাইজড হসপিটালের দায়িত্বরত চেয়ারম্যান ডা. মো. রইছ উদ্দিন সূজন তাঁর কক্ষে আমাদের ডেকে নেয়। প্রথমে তিনি জানতে চেয়েছেন সিভিল সার্জেন অথবা থানার ওসি’র অনুমতি নিয়ে আসছেন কি না?
এছাড়া তিনি কালের খেয়া নামক একটি পত্রিকার পরিচয় দিয়ে কথা বলেন। এক পর্যায়ে জানতে চাইলে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া নোটিশ সর্ম্পকে বলেন, ‘ সিভিল সার্জেন অথবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন কোন নির্দেশনা আসেনি। তবে ঢাকা থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা ও সাংবাদিক তদন্তে এসে কার্যক্রম বন্ধের কোন কথা বলেনি।’
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় কয়েকজনকে চাঁদা ও সুবিধা না দেয়ায় হসপিটালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানি করে আসছে।
চাঁদপুর সিভিল সার্জেন অফিসের হিসাব রক্ষক মো. সেলিম বলেন, নোটিশ পেয়ে আমরা ওই হসপিটালের চেয়ারম্যানের বরাবর দিয়েছি। আর এই হসপিটালটির লাইসেন্স নেই। আমাদের প্রেরিত নোটিশ সংশ্লিষ্ট দপ্তরেও পাঠিয়েছি। কিছুদিন পূর্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেও তদন্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জেন মতিউর রহমান মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন, এভাবে অনুমতি ছাড়া একটি হসপিটাল চলতে পারে না। শিগগির হসপিটালটি পরিদর্শনে গিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। কার্যক্রম বন্ধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তা হিসাব রক্ষক মো. সেলিম ভালো বলতে পারবে।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৫ মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।