শাহরাস্তি প্রতিনিধিঃ
শাহরাস্তিতে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে এবতেদায়ী শাখার ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাহরাস্তি থানা পুলিশ ধর্ষক ইমামকে আটক করে চাঁদপুর জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। গুরুতর অসুস্থ ভিকটিম শিশু শিক্ষার্থীকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শাহরাস্তি পৌরসভাধীন ৯নং ওয়ার্ডের বাত্ত্বলা মিয়াজী বাড়ি নূরানী এবতেদায়ী মাদ্রাসায়। শাহরাস্তি থানা পুলিশ ও ভিকটিম শিশুর পরিবার সূত্রে জানায়, ৩১ জুলাই সোমবার দুপুর ১২টায় এবতেদায়ী শাখার ৩য় শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী (১০) তার ক্লাশ শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলে, তার শ্রেণী শিক্ষক ও বাত্ত্বলা মিয়াজী বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম অহিদুজ্জামান ওরফে দিপু মোল্লা (৩৮) মাদ্রাসা সংলগ্ন তার থাকার কক্ষে শিশু শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ধর্ষক অহিদুজ্জামান ওরফে দিপু মোল্লা শিশু শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে। শিশুর ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় শিশুকে উদ্ধার করে প্রথমে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। ধর্ষক অহিদুজ্জামান ওরফে দিপু মোল্লা বাগেরহাট জেলার মোল্লার হাট থানার চরআটজুরি গ্রামের বসার মোল্লার পুত্র। সে দীর্ঘ দু’বৎসর যাবৎ বাত্ত্বলা মিয়াজী বাড়ি নূরানী এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক ও বাত্ত্বলা মিয়াজী বাড়ি জামে মসজিদের পেশ ইমাম হিসেবে চাকুরী করতেন। এঘটনায় ভিকটিম শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে শাহরাস্তি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং-১৮ তাং ৩১/০৭/২০১৭ইং।
শাহরাস্তি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মিজানুর রহমান ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাছির আলমসহ সঙ্গীয় ফোর্স ৩১জুলাই সোমবার গভীর রাতে ধর্ষক অহিদুজ্জামান ওরফে দিপু মোল্লাকে আটক করে শাহরাস্তি থানায় নিয়ে আসে। ১ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তাকে চাঁদপুর জেল হাজতে প্রেরণ করে।
শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ভিকটিম শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধর্ষক আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিম শিশুকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।