“পরের ধনে পোদ্দারী-তার উপরে বাটপারি।” এমন প্রতিপাদ্যের প্রতিফলন ঘটেছে শাহরাস্তি উপজেলায়। গত ২৫ নভেম্বর বুধবার রাত ১২টায় উপজেলার উয়ারুক বাজারে ঘটে এমন ঘটনা। জানা যায়, ওই বাজারের পশ্চিম অংশের দক্ষিণ পাশে সিএন্ডবি’র জায়গায় কাঠ, বাঁশ, টিনের সাহায্যে একটি দোকান ঘর নির্মাণ করেন-একই এলাকার বেপারী বাড়ির নুরুল ইসলামের পুত্র আবু সুফিয়ান। নব-নির্মিত দোকান ঘরটি রাতের অন্ধকারেই ভাংচুর করেন প্রতিপক্ষরা।
এ ব্যাপারে আবু সুফিয়ান বলেন, বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে বাজার ব্যবসায়ী কাজী মোস্তফার সাময়িক দখলীয় সিএন্ডবি’র জায়গায় একটি দোকান-ঘর নির্মাণ করি। রাতের অন্ধকারে স্থানীয় বাড়িওয়ালা মৃত আমির হোসেনের কণ্যা কুসুম বেগম তার ভাড়াটে লোকজন দিয়ে আমার দোকানটি ভাংচুর করে। এ সময় দোকানে থাকা আমার লোকজনদের তারা মারধর করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, যদি উক্ত জায়গা কুসুম বা তার পরিবারের হতো তাহলে ঘর নির্মানের সময় বাধা দেন নি কেন ?-শত্রুরা হাসিল করার লক্ষ্যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তারা- এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ ব্যাপারে দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান। ঘটনায় অভিযুক্ত কুসুম বেগম বলেন, আমার পিতার মার্কেটের দোকান-ঘর ভাড়া দিয়েছিলাম স্থানীয় শহিদুল ইসলামের পুত্র জামালের কাছে। জামাল আমাদের না বলে গোপনে আবু সুফিয়ানের কাছে ভাড়া দেয় ওই দোকান-ঘরটি। আর দ্বিতীয় ভাড়াটিয়া হিসেবে আবু সুফিয়ান আমাদের দোকান ভাড়া না দেয়ায় আমরা তাকে নোটিশের আলোকে দোকান থেকে বের করে দেই। ওই থেকে শুরু হয় আমাদের সাথে তার শত্রুরার। সে তার দোকান নিজ লোক দ্বারা ভাংচুর করেছে। এখানে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে যে জায়গায় দোকান নির্মাণ করেছে ওই জায়গা আমাদের দখলে রয়েছে। আবু সুফিয়ান জোর পূর্বক ওই জায়গায় দোকান-ঘর নির্মাণ করায় তাদের ৫জনকে বিবাদী করে আমার মা সাফিয়া বেগম থানায় একটি জিডি করেছেন। যার নং-১০৫১ তারিখ-২৫/১১/২০১৫ ইং
বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন মুন্সি বলেন, এ বাজারে দু’টি ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয় রয়েছে। তাদের অবহিত না করে এবং বাজার পরিচালনা কমিটিকে বৃদ্ধাংগুলি প্রদর্শনের মাধ্যমে দৌরাত্বের পরিচয় দিয়েছে কুসুম বেগম ও তার পরিবারের লোকজন। রাতের অন্ধকারে বহিরাগত লোক এনে বাজারের দোকানে আক্রমন, ভাংচুর-এমন কার্যকলাপ সভ্য সমাজের লোকের নয়। ঘটে যাওয়া ঘটনাটি বাজার কমিটি অবশ্যই লক্ষ্য রাখবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসি বলেন, রাতের অন্ধকারে একদল হিং¯্র প্রকৃতির লোক এসে কাউকে কিছু না বলে সুফিয়ানের দোকান-ঘরটি ভাংচুর করতে শুরু করে। তাদের হিং¯্রতা এতটাই ক্ষীপ্র ছিল যদি কেউ বাধা দিতো তাহলে তাদেরকেও হত্যা করতে পারত তারা। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, ঘটনার সময় থানা-পুলিশ পূর্ব বাজারে সিএনজি স্ট্যান্ডের সামনে ছিল। খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে পুলিশ এসে কোনো ভূমিকা পালন করেন নি তারা। থানায় অভিযোগ করার পর রাতের অন্ধকারে দোকান-ঘর ভাংচুর করাটা প্রকৃতপক্ষে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় এবং তারা আইনের তোয়াক্কা না করেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন। বিবাদমান জায়গাটি মূলত কারোরই না, জায়গাটি সিএন্ডবি’র। অথচ পরের ধনে পোদ্দারি করতে চান আমির হোসেন পরিবার। এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর নজর-দারিতা প্রয়োাজন বলে তারা মনে করেন।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ২০ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।