শাহরাস্তি:
শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া এলাকায় ভাই ভাই ব্রিক ফিল্ড নামের ২টি ইটভাটার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরিবেশ বান্ধবের নামে পরিবেশ দূষণ পদ্ধতি ব্যবহার করে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নেয় ফিল্ড মালিক পৰ। অনুমোদনবিহীন পরিচালনা ও ডিজিটাল পদ্ধতির পরিবেশ বান্ধব ইটভাটায় লাকড়ি ও বোতাম জ্বালাতে দেখা গেছে।
জানা যায়, ওই এলাকার ইটভাটার মালিক মোঃ মিজানুর রহমান সম্প্রতি নোয়াপাড়া এলাকায় একটি ডিজিটাল পরিবেশ বান্ধব ইটভাটা তৈরির উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে আবেদন করেন। একটি সাধারণ ইট ভাটা চালু অবস্থায় রেখে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও অনুমোদন আসার পূর্বেই পরিবেশ বান্ধব ইটভাটা চালু করেন। উভয় ইটভাটাতেই তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে লাকড়ি, গাছের গুঁড়ি ও বোতাম ব্যবহার করে আসছেন। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের শর্ত উপেক্ষা করে পরিবেশ বান্ধব ইটভাটার ধোঁয়া নির্গতের জন্য মেশিন স্থাপন করার কথা থাকলেও তা না করে তিনি লাকড়ি, গাছের গুঁড়ি ও বোতাম ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ করে আসছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইটভাটার স্বত্বাধিকারী মোঃ মিজানুর রহমান জানান, তিনি ইট ভাটা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাংক ড্রাফ্টসহ কাগজপত্রাদি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়েছেন। আনুষ্ঠানিক অনুমোদন আসা সময়ের ব্যাপার। পরিবেশ বান্ধব ইটভাটায় মেশিন স্থাপন করলে প্রতিদিন ৭০ লিটার তেল জ্বালাতে হয়। যা ব্যয় বহুল। তাই মেশিন স্থাপন না করে সাদা ধোঁয়া নির্গতের জন্য আমি ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে পরিবেশ বান্ধব ইট ভাটা চালু করেছি। কাঠ জ্বালানোর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তা অস্বীকার করেন। তবে তিনি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পূর্বেই পরিবেশ বান্ধব ইটভাটাটি চালু করেছেন বলে স্বীকার করেন। পত্রিকায় প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়ায় পুরাতন সাধারণ ইটভাটাটি এখনো চালু রয়েছে বলে তিনি বলেন।
এলাকাবাসী জানান, পরিবেশ বান্ধব ইটভাটার সম্পূর্ণ আকৃতি তৈরি করে তা ব্যবহার না করে লাকড়ি দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে যা সম্পূর্ণ রূপে অনিয়ম। পাশাপাশি দুটি ব্রিক ফিল্ড হওয়ায় কৃষি জমিসহ এলাকাবাসী ৰতিগ্রসত্দ হচ্ছে। এতে করে বায়ু দূষণের কবলে পড়ছে জনগণ। জানা যায়, ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপৰ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এটাই এলাকাবাসীর প্রত্যাশা।