মোঃ আমিনুল ইসলামঃ
শাহরাস্তিতে ৩ প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি । এ সময় ডাকাতদের অস্ত্রের আঘাতে ৩ ব্যক্তি আহত হয়েছে। ঘটনাটি গত ৮ ফেব্রুয়ারী সোমবার গভীর রাতে উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩টি গ্রামে ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত হয়। জানা যায়, ওই ইউনিয়নের পরাণপুর গ্রামের মুন্সি বাড়ির মৃত সুলতান আহম্মদের পুত্র সিরাজুল ইসলাম, আবু জাফর মুঞ্জুর হোসেনের পাকা এক তলা বসত-ঘরের দরজা ভেঙ্গে ৮/৯ জনের একটি ডাকাত দল প্রবেশ করে। এ সময় একমাত্র গৃহকর্তা সিরাজের হাত, পা ও মুখ বেঁধে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করে তারা। এ ঘটনায় গৃহকর্তৃ মরিয়ম বেগম ও তার কণ্যা জান্নাত আহত হয়। এ ব্যাপারে মরিয়ম বেগম জানান, আমার স্বামী বাড়িতে থাকেন। আর দুই দেবর প্রবাসে থাকে। ঘটনার রাত এক টার দিকে ঘরের মূল দরজা ভেঙ্গে মুখস পরিহিত ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে প্রথমে প্রত্যেককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এরপর মোবাইল গুলো ছিনিয়ে নেয়, বিভিন্ন আলমারীর চাবি খুঁজতে থাকে। আত্ম ভয়ে চাবি দেয়ার পরও তারা সোকেসসহ নানা আসবাবপত্র ভাঙ্গতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে আমার কলেজ পড়–য়া কণ্যাকে ধরে অন্য রুমে নিয়ে ধর্ষন করার চেষ্টা করে। আর একটি তালিকা নিয়ে বলে এখনো অনেক স্বর্ণালংকার বাকী রয়েছে যা তোরা দিসনি। পরে মেয়ের উজ্জত রক্ষার্থে ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার তাদের হাতে তুলে দেই। নগদ ২৪ হাজার টাকা এবং ৩টি মোবইল সেট নিয়ে যায় বলে তিনি জানান। অন্যদিকে কুরকামতা গ্রামের সিরাজের ঘরে দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়। জানা যায়, একই রাত আড়াই টায় ৮/৯ জনের একটি ডাকাত দল ঘরের পিছনের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় টের পেয়ে চিৎকার করলে তারা হাতের অস্ত্রে দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সিরাজের স্ত্রী কুসুম বেগম (৩৩) কে। ঘটনার পর রক্তাক্ত গৃহ বধুকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়িতে কেউ না থাকার কারণে ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান জানা যায়নি। অপরদিকে আহম্মদ নগর কাইথরা গ্রামের মৃত সুজ্জত আলীর পুত্র রুহুল আমিন মাষ্টারের বাড়িতে ডাকাতি সংগঠিত হয়। এতে কেই হতাহত না হলেও নগদ ৪৫ হাজার টাকা, ১৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২শত সৌদি রিয়াল লুট হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে রুহুল আমিন মাষ্টারের পুত্র সোহেল জানায়, আমি ১৫ দিন পূর্বে প্রবাস থেকে দেশে আসি। নব বধুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তারা লুটতরাজ করে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। খবর পেয়ে শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশ প্রতিটি ঘটনা পরিদর্শনসহ লুটপাটের তালিকা লিপিবদ্ধ করে নেন বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারেরা জানিয়েছেন।