হাসানুজ্জামান : শাহরাস্তি উপজেলার দেবকরা মারগুবা ড. শহীদুল্লাহ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আশ্রাফুন নাহার মারজান (১০) কে গত সোমবার সন্ধ্যায় ৩ সন্তানের জনক কর্তৃক ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার মেহের দক্ষিণ ইউনিয়নের দেবকরার রাজাখাঁ বাজার সংলগ্নে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিতার পরিবার, এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই দিন সন্ধ্যায় মারজান রাজাখাঁ বাজারে মুড়ি আনতে গেলে একই গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র ৩ সন্তানের জনক জসিম উদ্দিন (৩২) প্রকাশ মুরগি জসিম তাকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তার দোকানে নিয়ে যায়। দোকানে নিয়ে ওই শিশুকে জড়িয়ে ধরে শরিরের বস্ত্র খুলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ওই সময় শিশুটি চিৎকার করলে সে তাকে ছেড়ে দেয়। শিশুটি তার কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরার পথে মা নুরুন্নাহারের সাথে দেখা হয়। মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি তার উপর নির্যাতনের বিষয়টি অবগত করে। পরিবারের লোকজন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি অবহিত করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মোরশেদ আলম অভিযুক্ত মুরগি জসিম ও তার ভাই জাহাঙ্গীর আলমকে জানালে অভিযুক্ত মুরগি জসিম বিষয়টি অস্বীকার করে তার উপর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে জানায়। পরবর্তীতে তার ভাই জাহাঙ্গীর সুষ্ঠ সমাধানের লক্ষ্যে সামাজিক ভাবে মিমাংসার জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় নেয়।
গত মঙ্গলবার রাতে একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে অভিযুক্ত মুরগি জসিম হাজির না হওয়ায় একই রাতে শিশুটির পিতা আবু হানিফ মাস্টার বাদী হয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত/০৩) এর ১০ ধারায় যৌন পীড়নের অপরাধে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১৭।
শিশুর পিতা আবু হানিফ জানান, মুরগি জসিম আমার বোন জামাই। সে কিভাবে তার মেয়ের সমতুল্য মেয়েটির উপর নির্যাতন করেছে আমার বোধগম্য নয়। আমি এর সঠিক বিচার দাবী করি।
স্থানীয় আবু ইউসুফ মোল্লা জানান, জসিম গত মঙ্গলবার বৈঠকের মাধ্যমে আমাদের নিকট বিষয়টি মিমাংসা চেয়েছে। সে লক্ষে আমরা বৈঠকের আয়োজন করি কিন্তু অভিযুক্ত জসিম হাজির না হয়ে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে বলে আমি মনে করি। বিগত দিনেও সে এরুপ অসংখ্য ঘটনার জন্ম দিয়েছে। তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। যাতে করে এমন অপরাধ করতে কেহ সাহস না পায়।