প্রতিনিধিঃ শাহরাস্তিতে ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স নানা সমস্যা জর্জরিত। এক্সরে মেশিন প্রায় ২মাস যাবৎ বিকল ডাক্তার সংকট উপজেলার দূরদূরান্ত থেকে আগত রোগীদের চরম দূর্ভোগ। ১৯৮৪ সালে ৩১ শয্যা নিয়ে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাত্রা শুরু হয়। ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও দীর্ঘ দিন ৩৩ বছর ধরেই ৩১ শয্যা জনবল দিয়েই চলছে এটি। শাহরাস্তি উপজেলা জনগণের স্বাস্থ্য সেবার প্রধান মাধ্যম এ হাসপাতাল। উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভার জনগণ এ হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে থাকেন।
১৯৯৪ সালের ২৪ এপ্রিল তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউছুফ শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৭ সালের ৪ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো.সিরাজুল ইসলাম শাহরাস্তি উপজেলার ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর ২০০৯ সালের ২ এপ্রিল ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রশাসনিক অনুমোদন লাভ করে। অনুমোদনের ৮ বছর অতিবাহিত হলে আজও মিলেনি জনবলের অনুমোদন।
[
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মানিক লাল মজুমদার বলেন, প্রতি বছর মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার পরও জনবলের অনুমোদন পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বেশ ক’বার ডিও লেটার দিয়েছেন এবং চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমানে হাসপাতালটির ৫০ শয্যার কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে। এ জন্যে ডাক্তার কর্মচারীকে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতিদিন বেড়েই চলছে রোগীর সংখ্যা। ৫০ শয্যা হাসপালের জন্যে যেখানে ২২ জন ডাক্তার থাকার কথা সেখানে ডাক্তার রয়েছে ৯ জন, ৩১ শয্যার জনবলও ঠিকমত নেই। শুধু ডাক্তারই নয়, সব ক্ষেত্রে রয়েছে জনবল সংঙ্কট।
৩১ শয্যা হাসপাতালের জন্যে ১৪ জন নার্সের স্থলে আছেন ৯ জন। ৮ জন সুইপারের স্থলে আছে ৩ জন। ৩১ শয্যার হাসপাতালের জন্যে ওয়ার্ড বয় ৩ জনের মধ্যে আছেন ১ জন । যেখানে ৫০ শয্যার হাসপাতালের জন্যে প্রয়োজন ৪ জন আয়া ২ জনের মধ্যে আছেন ১ জন।
হাসপাতালটিতে কোনো টিকেট ক্লার্ক না থাকায় এম এল এস এস দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। নেই কোনো ওটি বয়। ৩১ শয্যা হাসপাতালের জন্যে ২ জন ফার্মাসিস্ট থাকার বিধান থাকলেও এ হাসপাতালে একজনও নেই। শুধু হাসপাতালের ভেতরেই নয়; বাইরেও জনবল সংকট রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী ৪৫ জনের মধ্যে বর্তমানে রয়েছে ২৫ জন।
বর্তমানে শাহরাস্তি উপজেলায় ২৩ টি কমিউনিটি ক্লিনিক চলমান রয়েছে। সেখানে ২৩ জন কমিউনিটি হেলথ প্রভাইডারের পদ থাকলেও রয়েছে ১৯ জন। জনবলের সঙ্কটের কারণে শুধু কর্তৃপক্ষই নয়, ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীদেরও এছাড়া ও এক্সরের মেশিন প্রায় ২মাস যাবত বিকল। এ বিষয়ে সিভিল সার্জান ও স্বাস্থ মন্ত্রণালয়ে মেরামতের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। বহিঃ বিভাগে রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।