শাহরাস্তির কুলশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কমল চন্দ্র দাশকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রে অনৈতিক কাজের অভিযোগে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠিয়েছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকরা জানায়, কুলশী সপ্রাবির সহকারী শিক্ষক কমল চন্দ্র দাস পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব না থাকা স্বত্ত্বেও অনধিকারভাবে টামটা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে। গত ২২ নভেম্বর ইংরেজী পরীক্ষার দিন তিনি কেন্দ্রে প্রবেশ করে কুলশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থীর খাতা নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মতিনের বিষয়টি দৃষ্টি গোছর হয়। এরপর ওই শিক্ষককে আটক করে পরীক্ষার খাতাটি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সহকারী শিক্ষকের পরিচয়ে জানা যায়, তিনি কুলশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার পরিচয় জেনে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে গত ২২ নভেম্বর দায়িত্বরত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামিউল মাসুদ বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট অভিযোগটি প্রেরণ করেন। শিক্ষা কর্মকর্তা রাহেলা বেগম অভিযোগটি আমলে নিয়ে ওই শিক্ষক কমল চন্দ্র দাসকে গত ৪ ডিসেম্বর কারণ দর্শানো নোটিশ প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে আজ ১৩ ডিসেম্বর এ অবৈধ ও অনৈতিক কাজের পরও কমল চন্দ্র দাসকে কুলশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বহাল রাখার দাবীতে ওই শিক্ষাকের পক্ষের লোকজন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দাবী জানান।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাহেলা বেগম জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় বিষয়টির তদন্তভার আমার উপর অর্পন করেন। আমি বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ৪ ডিসেম্বর ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশের মাধ্যমে জবাব চেয়েছি। জবাবের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইগগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।