শাহরাস্তি:
পুলিশের সাবেক আইজি ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব হোসাইন আহম্মেদ
শাহরাস্তি থানা ও উপজেলার রূপকার পুলিশের সাবেক আইজি ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব হোসাইন আহম্মেদ গত ১৮ জুন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকাস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না…..রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৪ বছর। তিনি ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে হৃদরোগে আক্রানত্দ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ জুন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হোসাইন আহম্মেদ ৪ সনত্দানের পিতা। বড় ছেলে সাবেক ব্যাংকার মুশফিক আহমেদ, বড় মেয়ে মাহজাবিন আহম্মদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, মুশতাহি আহম্মদ আমেরিকায় একটি বৃহৎ কোম্পানীর পরিচালক ও ছোট মেয়ে ডাঃ শাহনাজ আহম্মদ আমেরিকায় বয়স্ক রোগীদের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বাদ জুমা রাজারবাগ পুলিশ লাইনে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে। তাঁর মৃত্যুতে শাহরাস্তি জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
হোসাইন আহম্মদের সংক্ষিপ্ত জীবনী: শাহরাস্তি উপজেলার দেবকরা গ্রামে ১৯২৯ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আবদুল আজিজ, মাতা আরফাতুন নেছা। ছাত্র জীবনে তিনি প্রথমে দেবকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়, এরপর কুমিল্লা জিলা স্কুল, তারপর কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ ও সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স সম্পন্ন করেন।
১৯৫২ সালে তিনি কমপ্রেরেটিভ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ সার্ভিস অব পাকিসত্দান (পি.এস.পি) থেকে চাকুরি জীবন শুরু করেন। এরপর পাকিসত্দান আমলে তিনি শেরে-বাংলা এ.কে ফজলুল হকসহ মোট ৬ জন গভর্নরের এ.ডি.সির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ময়মনসিংহ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করে পরে কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপারের (এসপি) দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি খুলনা রেঞ্জের ডিআইজির দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর তিনি ডিআইজি রাজশাহীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি এডিশনাল আইজির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের আইজি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭৮ সালের আগস্ট মাসে তিনি স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ পুলিশ থেকে অব্যাহতি নেন। ১৯৭৯ সালে তিনি মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি সংসদ সচিবালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশনের সচিব, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগীয় সচিব হিসেবে দু’বার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এলজিইবিকে এলজিইডিতে রূপান্তরিত করেন। ১৯৮৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি চাকুরি ছেড়ে অবসর গ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে হোসাইন আহম্মদ ১৯৫৭ সালে রাজশাহী অঞ্চলের জমিদার মরহুম ওহাব আহম্মেদ (যুক্তফ্রন্টের এল.এম.এ) কন্যা (মরহুম) মুশতারী বেগমের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
এম.এ মতিনের শোক
সাবেক সচিব ও আইজিপি, শাহরাসত্দির কৃতী সন্তান হোসাইন আহম্মেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য এম.এ মতিন। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শোক সনত্দপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। কর্মজীবনে হোসাইন আহম্মেদের অবদানের কথা উল্লেখ করে এম.এ মতিন বলেন, তিনি ছিলেন কর্মদক্ষ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি। উপজেলার উন্নয়নের জন্য তাঁর অবদান অবিস্বরণীয় হয়ে থাকবে।
শাহরাস্তি মডেল থানার ওসির শোক
সাবেক সচিব ও আইজিপি, শাহরাস্তির কৃতী সন্তান হোসাইন আহম্মেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক মামুন। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সুনাম অর্জনের লক্ষ্যে তাঁর অবদানের কথা স্বরণ করে তিনি বলেন, তাঁর মত কর্মদক্ষ ও নিষ্ঠাবান অফিসার পাওয়া দুর্লভ।
মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের শোক
শাহরাস্তির কৃতী সন্তান সাবেক আইজিপি ও সচিব হোসাইন আহম্মদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, হোসাইন আহম্মদ ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি এ দেশের ও শাহরাস্তি উপজেলার উন্নয়নে বেশ অবদান রেখে গেছেন। উপজেলার জনগণ তাঁকে আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করবে। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের শোক
সাবেক আইজিপি ও সচিব হোসাইন আহম্মদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগের শোক
সাবেক আইজিপি ও সচিব হোসাইন আহম্মদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে শাহরাস্তি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। দলের পক্ষে সভাপতি ফরিদ উল্লাহ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মিন্টু মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, তিনি ছিলেন একজন দক্ষ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি। উপজেলার উন্নয়নে তিনি বেশ অবদান রেখে গেছেন। আমরা মরহুমের শোক সনত্দপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
পৌর বিএনপির শোক
সাবেক আইজিপি ও সচিব হোসাইন আহম্মদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে শাহরাস্তি পৌর বিএনপি। দলের সভাপতি আবুল খায়ের সিএ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, শাহরাস্তিবাসী হোসাইন আহম্মেদকে আজীবন স্মরণ করবে। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে আজীবন বেঁচে থাকবেন। আমি তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
পৌর মেয়র মোস্তফা কামালের শোক
সাবেক আইজিপি ও সচিব হোসাইন আহম্মদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র মোঃ মোসত্দফা কামাল। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের শোক
সাবেক আইজিপি ও সচিব হোসাইন আহম্মদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঈনুল ইসলাম কাজল। তাঁরা মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, শাহরাস্তিবাসী হোসাইন আহম্মেদকে আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ ও কর্মঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। শাহরাস্তি উপজেলার জন্য তিনি যে অবদান রেখে গেছেন তা শাহরাস্তিবাসীর জন্য চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
যুবদল নেতৃবৃন্দের শোক
জেলা যুবদলের সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক মাসুদ পাটওয়ারীর বাবার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা যুবদল নেতৃবৃন্দ। মাসুদের বাবা হানিফ পাটওয়ারী ইন্তেকাল করেন (ইন্না…….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬০ বছর। জেলা যুবদল সভাপতি শাহজালাল মিশন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, শহর যুবদলের আহ্বায়ক আঃ কাদির বেপারী, জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক পারভেজ আলম রবিনসহ জেলা নেতৃবৃন্দ এক শোকবার্তায় শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।