মোঃ জামাল হোসেনঃ
শাহ্রাস্তি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সিকদার মোঃ সাইফুল ইসলাম গতকাল ২৯ জুন দুপুরে কালিয়াপাড়া বাস স্টেশন এলাকায় এক ফল ব্যবসায়ীকে মারধর করেন। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমকে তিনি লাঞ্চিত করেন। এক পর্যায়ে তাকে থানার গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যান। কিছুক্ষন পর তাকে দোয়াভাঙ্গা এলাকায় এনে ছেড়ে দেন। এ ব্যাপারে কালিয়াপাড়া বাজার ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনগণ সড়ক অবরোধের চেস্টা চালায়। বিক্ষুদ্ধ জনতাকে শান্ত করতে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সন্ধ্যায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গতকাল দুপুরে এস.আই সাইফুল ইসলাম কালিয়াপাড়া বাজারের ফল ব্যবসায়ী ইমাম হোসেনের দোকানের সামনে এসে দোকান মালিককে খোঁজ করেন। এ সময় ইমাম হোসেন দোকান মালিকের নাম বলে এস.আই সাইফুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে ইমাম হোসেনকে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে দোকান মালিক মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম এগিয়ে আসলে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। আবুল কাশেম জানান, সাইফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একটি কল আসার পর তাকে ছেড়ে দেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করতে থাকেন। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঘটনার বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর সমাধানের আশ্বাস দেন।
এ দিকে সন্ধ্যায় স্থানীয় জনগণ চাঁদপুর-কুমিল্লা মহা সড়ক অবরোধ করে। এ সময় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনারস্থলে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠ সমাধানের লক্ষে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুকবুল আহম্মেদ, মেহের উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম রনি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মোস্তফা কামাল, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মফিজুর রহমান, এস.আই আঃ মান্নান, কামাল হোসেন, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন প্রমূখ।
বৈঠকে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমি কিছুই শুনতে চাই না, জনগণের উপস্থিতি প্রমাণ করে কার দোষ হয়েছে। আমি বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মহোদয়কে আমি প্রতিবেদন লেখবো। মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার বিষয়ে তিনি বলেন- আপনারা দেশ স্বাধীন না করলে আমি আজ এ পদে থাকতে পারতাম না। এ জন্য ক্ষমা চেয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমকে জড়িয়ে ধরেন। উপস্থিত জনতা এস.আই সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবী জানালে তিনি এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
এদিকে একই দিন এস.আই সিকদার মোঃ সাইফুল ইসলাম কালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত খলিলুর রহমান পুত্র মুসলিম মিয়ার মৃত্যু সনদের জন্য বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজের অভিযোগ এনেছেন মৃত মুসলিম মিয়ার ভাই আলী হোসেন।