প্রতিনিধি
চাঁদপুর পৌরসভাধীন ২৬নং হালে ৪৪নং তরপুরচন্ডী মৌজার ৩ শতাংশ জমির জন্য শিক্ষানবিশ আইনজীবী মোঃ অলি আহম্মদ চৌধুরীকে মডেল থানার ভেতরে ব্যাপক মারধরসহ জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে দলিলে স্বাক্ষর নিলেন এস আই সাঈদ। এ ঘটনায় অলি চৌধুরী পুলিশ সুপার ও চাঁদপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রার বরাবরে আবেদন করেন। লিখিত পত্রে উল্লেখ করেন অলি আহম্মেদ চৌধুরী ও মোঃ দুদু মিজি সদর থানাধীন সাবেক ২৬নং হালে ৪৪নং তরপুরচন্ডী মৌজার সি.এস ৬৪৩ এবং এস.এ ৫৮৩নং দাগ হাল ৪৮৩২নং দাগে ১.১৯ একর ভূমির অন্দরে .১২শ একর সম্পত্তির মালিক ও ভোগ দখলকার আছেন। উভয় শরীক উক্ত ভূমি হইতে ৩ শতাংশ ভূমি মোঃ আবদুল বারেক মিয়াজীর নিকট সামাজিক আলোচনার মাধ্যমে বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেই। উক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক উভয়ে গত ৩০ এপ্রিল আবদুল বারেক মিয়াজী গংয়ের অনুরোধে দলিল প্রস্তুত করা প্রসঙ্গে বিকাল সাড়ে ৪টায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গেলে জনৈক বারেক মিজি, রাজ্জাক মিজি, মাসুদ বরকন্দাজ গং আমাদের কাছ হতে উভয়ের পাসপোর্ট সাইজের ছবি নেয় এবং দলিল লিখক এম.আই মমিন খানের নিকট নিয়ে যায়। এম.আই মমিন খান আমাদের বক্তব্য ছাড়াই পূর্ব হতে দলিল প্রস্তুত করে রেখে আমাকে দলিলে স্বাক্ষর করতে বললে আমি দলিলে কি লিখেছে তা দেখতে চাই এবং দলিল পড়ে দেখি আমাদের উভয় পক্ষের সামাজিক আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলিল লেখা হয়। আহত অলি চৌধুরী সাংবাদিদের জানান, আমি ও দুদু মিজির জায়গা থেকে ২০১২ সালের শেষ দিকে বারেক মিয়াজীর কাছে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা বায়না বাবদ ৪ শতক মৌখিক জায়গা বাবদ কথা চূড়ান্ত হয় ৩শ’ টাকার স্ট্যাম্পে। ওই স্ট্যাম্পে আমরা দু’জনই সই করি, সেই চুক্তি অনুযায়ী বারেক মিজি গং ৬ মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রি করবেন বলে জানিয়েছেন। ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর কোনো যোগাযোগ করে নি। আমরা ২০১৩ সালে ৫ অক্টোবর ফিরত দেবো বলে জানাই। পরে স্থানীয়ভাবে সামাজিকভাবে বসে ৩ শতক জায়গা বারেক মিজিকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হয়। চাঁদপুর পৌরসভাধীন ১৩নং ওয়ার্ডের মধ্য তরপুরচন্ডী এলাকার মিজি বাড়ির এই জায়গার আমি ও দুদু মিজির যৌথ স্বাক্ষরে দলিল সই করে দেবো। এ বিষয়টি আওয়ামীলীগ নেতা মিজান শেখ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম সুমন, অ্যাডঃ নজরুল ইসলাম, অ্যাডঃ জাহাঙ্গীর খান, ইসমাইল খানকে অবগত করা হয়। সে মোতাবেক গত ৩০ এপ্রিল আঃ বারেক মিজি গং খবর দিলে ভেন্ডার লিখক এস আই মমিনের কাছে নিয়ে যায়। ভেন্ডারের কাছে গিয়ে দেখি আমার পার্টনার দুদু মিজির সেখানে কোনো নাম নেই। আমার নামে তারা সাড়ে ৩ শতাংশ জমি দলিল লিখে রাখেন। আমি এতে বাধা দিলে বারেক মিজি, ইনু বরকন্দাজসহ এস আই আমাকে মারধর করে। এস আই আমাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ছবি উঠিয়ে রাখেন এবং জোর করে স্বাক্ষর করান।
মধ্য তরপুরচন্ডী ওই জায়গার অন্য মালিক দুদু মিয়াজী সাংবাদিকদের জানান, আমরা দু’জনই ওই জায়গার মালিক। কিন্তু তারা এককভাবে অলি চৌধুরীকে চাপ দিয়ে জায়গার দলিলে স্বাক্ষর নেন যা খুবই দুঃখজনক। একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে তারা ব্যাপক মারধরও করেন যা সম্পূর্ণ অবৈধ।