মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ও এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা। বাংলাদেশে প্রায় কয়েকশত পুরাতন এমপিওভুক্ত (উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি) কলেজ গুলোর উচ্চমাধ্যমিক স্তরে আবশ্যিক বিষয়ে ১জন করে আইসিটি বিষয়ের প্রদর্শক (শিক্ষক-শিক্ষিকা) দীর্ঘ ১৬/১৮ বছর যাবত নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত আছে। এসব আইসিটি প্রদর্শক (শিক্ষক-শিক্ষিকা) গণ দীর্ঘদিন ধরে নানাবিধ পেশাগত বৈষম্যের শিকার। দীর্ঘ ১৬/১৮ বছর যাবত কর্মরত থাকলেও এমপিও হয়নি। শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ সন্তানদের শিক্ষা নির্বাহ, দৈনন্দিন ব্যয়, চিকিৎসা ব্যয়, পিতা-মাতা সহ পরিবারের অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীর নিকট নিবেদন, পুরাতন এমপিওভুক্ত কলেজ গুলোর কয়েকশত নন-এমপিও আইসিটি প্রদর্শক (শিক্ষক-শিক্ষিকা) ১৬/১৮ বছর যাবত কর্মরত আছেন তাদের বিষয়ে দ্রুত সদয় দৃষ্টি দিবেন। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী অবগত আছেন যে, তারা সকলেই এমপিওভুক্তির জন্য তৎসময়ে নিজ নিজ নিয়োগপত্র পেয়ে যোগদান করার পর পরই রাষ্ট্রীয় তফশীল ব্যাংক (১). সোনালী ব্যাংক : রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ, (২). অগ্রণী ব্যাংক : ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ, (৩). জনতা ব্যাংক : চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগ, (৪). রুপালী ব্যাংক : খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এর যে কোন ১টি’তে নিজ নিজ নিয়োগপত্র ও যোগদানপত্র অনুলিপি এবং অন্যান্য কাগজপত্র সহ ব্যক্তিগত হিসাব (একাউন্ট) ও নম্বর খোলা আছে। কয়েকশত পুরাতন এমপিওভুক্ত কলেজের যে সকল নন-এমপিও আইসিটি প্রদর্শক (শিক্ষক-শিক্ষিকা) যারা ১৬/১৮ বৎসর যাবত এমপিওভুক্ত কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত আছেন কিন্তু এমপিও হয়নি (নন-এমপিও) তাদের সকলকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) যাতে দ্রুত অফলাইনে হার্ডকপি জমা নিয়ে এমপিওভুক্ত করে তার নির্দেশ প্রদান করবেন।
মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী বাংলাদেশের সকল এমপিও ও নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীকে ডিজিটাল রেশন কার্ড প্রদান করা।
মাস শেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ঠিকই তাদের মাসিক বেতন ব্যাংক একাউন্টে পেয়ে যান। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা? এমপিওভুক্ত কলেজ গুলোর নন-এমপিওভুক্ত আইসিটি প্রদর্শক শিক্ষকদের কথা একবার ভাবুন। পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানের পেশায় আছেন তিনি, হোক না নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক। এ যে সম্মানের পেশা, মাথা নত না করার পেশা। হীন অবস্থায় থাকলেও শির কিন্তু টান করেই রাখে এ শিক্ষকরা। কারণ সরকারি, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা যেমন শিক্ষক, তেমনি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও শিক্ষক।
জাতি বিনির্মাণের নিপুণ কারিগর এবং সমাজের সবচেয়ে সম্মানিত শিক্ষক সমাজের এমন করুন চিত্র আজ সর্বত্র। যারা বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে কর্মরত তারা জীবন যৌবন উৎসর্গ করে জাতিগঠনে নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছেন। মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী সেই শিক্ষকদের সুখ-দুঃখ প্রকাশের ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে আপনারা ব্যতিত নেই কোন নির্ভরশীল অভিভাবক।
লেখক পরিচিতি :
মো. আব্দুস সালাম।
প্রদর্শক, আইসিটি (কম্পিউটার শিক্ষা),
জয়লাজুয়ান ডিগ্রী কলেজ, শেরপুর, বগুড়া।
সমন্বয়ক-১
“বাংলাদেশ এমপিওভুক্ত বেসরকারী কলেজ নন-এমপিও প্রদর্শক (আইসিটি) শিক্ষক সমিতি”,
কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ।
০১৭১৪-৪৬৩১৩৮