ডাঃ বশির মোহাম্মদ ইলিয়াস / প্রভাষক.ডাঃএস.জামান পলাশ
সাধারণত জন্মের ২৮ সপ্তাহ বা ছয়-সাত মাস পর থেকেই শিশু দা, বা, কা, চা প্রভৃতি আধো বুলি না বুঝেই আওড়াতে থাকে। বিপরীতে অক্ষরের পিঠে অক্ষর জুড়ে দাদা, বাবা, কাকা, মামা প্রভৃতি শব্দ অর্থ না বুঝেই বলে। শিশুরা কিন্তু কথা বলা শেখার আগেই বুঝতে শেখে। অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তারা নিজের মনের কথা প্রকাশ করে। যেমন কোলে উঠতে চাইলে দুই হাত উঁচু করা, কিছু নিতে না চাইলে হাত থেকে ফেলে দেয়া ইত্যাদি। তবে সাধারণত এক বছরের মাথায় বা ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে শিশু একটি শব্দে কথা বলা শুরু করে। কিন্তু কোনো শিশু যদি এর মধ্যে কথা বলা শুরু না করে তবে তা অস্বাভাবিক বুঝতে হবে। কেন এমন হয়? অনেক শিশু এমনিতেই স্বাভাবিক সময়ের কিছু পরে অর্থাৎ ১৩-১৪ মাস থেকে কথা বলা শুরু করে। ষ বংশগত কারণেও দেরিতে কথা বলা অস্বাভাবিক কিছু নয় ষ মস্তিষ্কের জন্মগত ত্রুটি ষ প্রসবকালীন জটিলতা ষ প্রসবোত্তর স্বল্পকালীন অসুখ যেমনÑ কঠিন জ্বর, খিঁচুনি, জীবাণু সংক্রমণ, মস্তিষ্কের ভেতর জীবাণু সংক্রমণ ইত্যাদি শিশুর কথা বলায় অন্তরায় হতে পারে ষ শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। অনেক সময় দেখা যায়, বড়রা শিশুর সাথে ঠিকমতো কথা বলে না। ফলে শুনে শুনে শিশুরা ভুল উচ্চারণ শিখে থাকে ষ শিশুর মানসিক প্রতিবন্ধকতা থাকলে অর্থাৎ বুদ্ধির মাত্রা কম হলেও শিশু দেরিতে ভাষা শেখে ষ শিশুর সামনে ঝগড়া বা উচ্চশব্দ বেশি মাত্রায় করলে তাদের কথা জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
করণীয় : শিশুর সামনে শুদ্ধ উচ্চারণে বেশি বেশি করে কথা বলুন। শিশুর বেড়ে ওঠার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ যেন অনুকূলে থাকে সে দিকে নজর দিন ষ শিশুর মানসিক অস্থিরতা দূর করতে সহযোগিতা করুন ষ শিশু ভুল উচ্চারণ করলে খুশি না হয়ে তৎক্ষণাৎ শুধরে দিন ষ মা-বাবারা যতটা সম্ভব শিশুর সাথে সুন্দর সময় কাটান ষ শিশু যেন হীনম্মন্যতায় না ভোগে, নিজেকে অসহায় ও একা না ভাবে ষ গান বা কবিতা বা গল্প শুনিয়ে শিশুকে ঘুম পাড়ান।
চিকিৎসাঃ এ সমস্যার জন্য যত তাড়াতাড়ী সম্ভব একজন হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরার্মশ নিন,এ্যালপ্যাথিতে এর কোনো চিকিৎসা নেই ,তাই সময় নষ্ট না করে হোমিও চিকিৎসা নিন।
- প্রভাষক.ডাঃএস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল - মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট,চাঁদপুর
- 01711-943435 // 01919-943435
চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল - ইমেইল-dr.zaman.polash@gmail.com
- ওয়েব সাইট –zamanhomeo.com