প্রতিনিধি==
বিদ্যালয়ের ৰুদে শিক্ষার্থী মুন্নী অপহরণ মামলায় হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ আপন ২ বোনকে আটক করলেও এক বোনকে মামলার আসামী করে অপর বোনকে মামলার সাক্ষী করা হয়েছে। অপহরণের সাথে সরাসরি জড়িত সুমীকে ঢাকার উত্তরা থেকে আর তার বোন মনি বেগমকে সিলেট থেকে আটক করা হয়। এ দু’ বোনকে রোববার রাতেই হাজীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। আটক এ দু’ বোনকে আজ মঙ্গলবার চাঁদপুর আদালতে হাজির করে আসামী সুমীর বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন চাওয়া হবে। তবে অপহৃতা মুন্নী এখনো উদ্ধার হয়নি।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ও মুন্নীর মামা মাঈনুদ্দিনের তথ্য মতে জানা যায়, মুন্নীকে অপহরণ করে ধুরন্ধর সুমী সিলেটে তার বোন মনি বেগমের বাসায় চলে যায়। সুমী সিলেটে অবস্থানকালীন একটি মুঠোফোনে মাঈনুদ্দিনের মুঠোফোনে কথা বলে। ঐ মুঠোফোনের সূত্র ধরে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল সিলেটে অবস্থান নেয় ও হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুমীর বোন মনিকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি বা পুলিশ যাওয়ার ঘটনাটি আগেই সুমী জানতে পেরে বোন মনি বেগমের সিলেটের বাড়ি ত্যাগ করে সুমী। পরে মনি বেগমের দেয়া তথ্য মতে মনিকে নিয়ে পুলিশ ফের অভিযান চালায় ঢাকার উত্তর খান এলাকার অহিল মিয়ার বাড়িতে। সেখান থেকে সুমীকে আটক করা হয়। পরে সুমী ও মনিকে পুলিশ হাজীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। আজ মঙ্গলবার চাঁদপুর আদালতে হাজির করে আটক সুমীর বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
হাজীগঞ্জ থানার এসআই আঃ মান্নান জানান, মতলব দক্ষিণ উপজেলার চাপাতলী গ্রামের কাজী বাড়ির আব্দুল মান্নানের মেয়ে হচ্ছে সুমী ও মনি বেগম। এ মামলায় সুমীর বোন মনি বেগমকে সাৰী দেখানো হয়েছে। আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমীর বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হবে। এ ব্যাপারে অপহৃতা মুন্নীর পিতা আনোয়ার রাতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান আবুল হোসেন বলেন, শিশু মুন্নীকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং অপহরণকারী সুমীকে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
মুন্নীর মামা মাঈনুদ্দিন জানান, গত ক’ মাস আগে আমরা মুন্নীসহ আমার বড় বোনের ঢাকার বাসায় বেড়াতে যাই। সেই বাসার পার্শ্ববর্তী ভাড়া বাসায় সুমী থাকতো। এ ছাড়া মুন্নীর বাবার বাড়ি ও সুমী বেগমের বাবার বাড়ি পাশাপািশ গ্রামে হওয়ায় তারা ঢাকার বাসায় অবাধে যাতায়াত করতো। এ সুবাদে সুমী বেগমকে মুন্নী ফুফু হিসেবে সম্বোধন করতো। সে সূত্র ধরে ফুফুর পরিচয় দিয়ে এ সুমী বেগমই মুন্নীকে বিদ্যালয় থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, হাজীগঞ্জ উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের ছয়ছিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী জেসমিন আক্তার মুনি্ন। গত ১৪ নভেম্বর বিদ্যালয়ে ১ম ঘণ্টার ক্লাস শেষে ও ২য় ঘণ্টা শুরু হওয়ার মধ্যবর্তী সময় অজ্ঞাত এক নারী মুনি্নকে নাম ধরে বিদ্যালয় থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সে থেকে মুনি্ন নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় ঐ দিন রাতেই মুনি্নর বাবা রিঙ্া চালক আনোয়ার হাজীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। মুনি্নর বাবার বাড়ি উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের কাপাইকাপ গ্রামে। সে তার মামার বাড়ি বাকিলা ইউনিয়নের ছয়ছিলা গ্রামে থেকে পড়ালেখা করতো।