প্রতিনিধি ॥ চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার তারাপুর গ্রামে চলছে শোকের ছায়া। মা-বাবা কর্তৃক নির্যাতনের পর শিশু সুমাইয়া মারা যাবার পর দেশ জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। শিশু সুমাইয়া হত্যার পর তাদের ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। বাকি তিন ভাই-বোন পার্শ্ববর্তী নানার বাড়ীতে বসবাস করছে। আদালত কর্তৃক সুমাইয়ার বাবা, মা’কে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এদিকে তাদের পরিবারের লোকজনের মাঝে জিন আতংক বিরাজ করছে। গত ৫ আগষ্ট রাত প্রায় ১১ টায় সুমাইয়ার নানা দারাজুল ইসলাম শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে ফোন করে সুমাইয়ার বোন নুরুন্নাহার আসমা (১৪) তার মায়ের মত উগ্র আচরণ করছে এবং তাকে শান্ত করা যাচ্ছে না মর্মে জানায়। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ সুপারের সাথে মরামর্শক্রমে রাতেই তারাপুর দারাজুল ইসলামের বাড়ীতে যায়। তিনি উপস্থিত হয়ে সবার সাথে আলোচনা করে আসমাকে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন রাত ১২ টা ৪০ মিনিটে। তারা পুলিশ পাহারায় ভর্তি করা হয়।
ডা. মানিক লাল মজুমদার জানান, তার অবস্থা ভালো। তবে মানসিক চাপের কারণে এমন হতে পারে। তার শারীরিক দুর্বলতার জন্য চিকিৎসা চলছে।
জানা যায়, তাকে হাসপাতালে ভর্তির পর কোন প্রকার উগ্র আচরণ করেনি।
এদিকে গতকাল ৬ আগষ্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইষলাম। তিনি পরবর্তীতে শাহরাস্তি কমপ্লেক্সে আসমাকেও দেখতে যান।
এ বিষয়ে নিহত সুমাইয়ার খালা নাজমা আক্তার ফাতেমা আক্তার জানান, তারা বর্তমানে জিন আতংকে রয়েছে। তাদের ধারণা, তার বোনকে যে জিনে আছর করেছে তা আসমার উপরও ভর করেছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ এনজিও থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি। তথ্য দেওয়ার মত কোন গ্রহণ যোগ্য লোক পাওয়া যায়নি।
পুলিশ আরও জানায়, আসামীদের রিমান্ডে আনার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী রবিবার তাদের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত সুমাইয়ার বোন আসমা হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার সাথে কথা বলে তাকে স্বাভাবিক অবস্থায় দেখা যায়।