সাখাওয়াত হোসেন মিথুন :
খেজুর গাছকে অনেকেই শখ করে মধুবৃক্ষ বলে থাকেন। শীতের আগমনে মধুবৃক্ষ খেজুর গাছের কদর বেড়ে যায়। গাছিরা খেজুর গাছ থেকে মিষ্টি রস সংগ্রহ করে চলছে শীতকালে। গ্রামের কন্যা বধুরা সেই রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোলা গুড়, নলেন গুড়, দানা গুড় ও পাটালি গুড় তৈরী করেছে। যত শীত পড়বে তত খেজুরগাছ মিষ্টি রস দেবে। এই কথাটি মনে রেখে গ্রামীণ পরিবার গুলো শীত জুড়ে রস, গুড়, পীঠা, পুলি, পায়েস খাওয়ার আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। মেয়ে জামাইকে নিমন্ত্রন করে ও আনা হচ্ছে অনেক পরিবারে। যে সব পরিবারের সদস্যরা শহরে বসবাস করছেন তাদের খেজুরের রসের পুলি, পায়েস, পিঠা খাওয়ার জন্য গ্রামে ঢাকা হচ্ছে। অনেক পরিবারেই এখন চলছে রস উৎসব। শীতের খেজুর গাছ থেকে রস আহরনকারী গাছিদের প্রাণ চাঞ্চল্য বাড়ে। যদিও আগের মতই সেই রমরমা অবস্থা এখন আর নেই। না থাকারও রয়েছে অনেক কারণ। হাজীগঞ্জের মৈশামুড়া গ্রামের খেজুর রস সংগ্রহকারী জানান, প্রায় ৫৫ বছর তিনি এ যাবৎ গাছ কাটছেন আগে প্রতি বছর শতাধিক গাছ কাটতেন। এতে তার ৫/৬ জনের পরিবারের বার্ষিক খরচ কিছুটা জোগাড় হত। তবে শীত মৌসুম জুড়ে পুরোটাই কাটাতে হত খেজুর গাছে। এখন প্রতি বছর ১৫/২০টি গাছ কাটেন। তিনি আরো জানান, ইটভাটা ও টালি তৈরীর কারখানার মালিকরা খেজুর গাছ সাবাড় করে দিচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ঘরের বেড়ার জন্য পালা হিসেবে খেজুর গাছের কাঠ ব্যবহার করছে। শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ভরা সোনার ধান, গোলা ভরা সোনালী শস্য আর খেজুর গাছে ঝুলানো ছোট কলস বা হাড়ি বা ভাঁড় পরিপূর্ণ হয় রসে। গ্রাম বাংলা আমোদিত হয়ে উঠেছে। চারদিকে উৎসবের আমেজ।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।