শামছুল আলম॥
*মেঘনা পাড়ের ঘাটগুলিতে আড়ৎবিহীন দালালদের সহযোগীতায় বিক্রি হচ্ছে “মা ইলিশ”
প্রজনন মৌসুমের শেষ মুহুর্তেও রক্ষা পাচ্ছে না, ইলিশ বিখ্যাত চাঁদপুরের মেঘনার “ডিমওয়ালা মা ইলিশ” গত ৫ অক্টোবর হতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এ ১১ দিন চাঁদপুর মেঘনা এলাকাসহ দেশের নদী অঞ্চল চৌদ্দটি জেলার নদ-নদীতে ইলিশ প্রজনন রক্ষায় ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহণ এবং মজুদ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু উক্ত সময়ের শেষ মুহুর্তে এসে সরেজমিন মেঘনাপাড় এলাকার দোকানঘর, বহরিয়া, লক্ষীপুর, আখনের ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যাচ্ছে এসব এলাকার জেলেরা যেভাবে মা ইলিশ শিকারের নামে “ডিমওয়ালা মা ইলিশ” নিধন করছে, তাতে মনে হয় এসময় কোন প্রশাসনিক অভিযানেই নাই। তাছাড়া এসব এলাকায় আড়তবিহীন দালালদের সহযোগীতায় বিক্রি হচ্ছে “ডিমওয়লা মা ইলিশ”
তার সাথে ক্রেতারাও কম মূল্যে পাওয়া খুশিতে ক্রেতারা এসব “ডিমওয়ালা মা ইলিশ” ক্রয় করছে। প্রজনন মৌসুমে বিবেকের তাড়নায় মাছ ক্রয় করা থেকে বিরত রয়েছেন এমন কয়েকজন সচেতন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, চাঁদপুরের প্রশাসন উপরে ক্রেতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযান পরিচালনা করছেন ঠিক সেভাবে নদীতে মাছ শিকারী জেলেদের বিরুদ্ধে একই পদ্ধতিতে সমানতালে অভিযান পরিচালনায় কঠোর হলে, কোন কৌশলেই মা ইলিশ নিধন করা সম্ভব হতো না। কিন্তু নাম প্রকশে অনিচ্ছুক জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রশাসন কিছু অসাধু ব্যাক্তিবর্গ জেলেদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে, অভিযানের পূর্বে তাদেরকে ফোন করে জানিয়ে দেয়, বিনিময়ে পরবর্তীতে জেলেদের প্রতি নৌকা থোকে মাছ ও নগদ অর্থ সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। এতে করে জেলেরাও নির্ধিদায় মাছ শিকারে নদীতে নেমে যায়। সম্প্রতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি ১টি ইলিশে জরিমানা ও ৪টি ইলিশে জেল দেওয়ার যে শাস্তি ঘোষনা করা হয়েছে, তার বাস্তবায়ন দেখতে চান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ক্রয় করা থেকে বিরত সচেতন ব্যক্তিবর্গ।