মিজান লিটন
পৌষের শুরুতে তেমন শীত অনুভূত হয়নি। হতদরিদ্র মানুষের কষ্ট বাড়াতে মৃদু শৈত্য প্রবাহের সাথে শীতের তীব্রতাও বাড়ছে। এতে করে জেলার জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে চাঁদপুরের সর্বত্র তীব্র শীত অনুভূত হয়। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সব বয়সী নারী-পুরুষ শীত বেশি পড়ায় শীত নিবারণে গরম কাপড় পরিধান করে। সবাই যেনো শীতের আক্রমণে কাতর হয়ে আছে।
পৌষ ও মাঘ এ দু’মাস শীতকাল। এ বছর পৌষের প্রথম ১০ দিন শীত তেমন একটা গায়ে লাগেনি। গতকাল থেকেই শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সরজমিনে শহর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মার্কেট, ফুটপাত এবং পুরান কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি ভিড়। শহরের ১০নং চৌধুরীঘাট ও চৌধুরী জামে মসজিদ বিপরীতে পুরাতন মোটা কাপড়ের দোকানিরা জানায়, শীত দেখা দেয়ায় বিক্রি তাদের বেড়েছে। মার্কেটগুলোতে স্বচ্ছল পরিবারের সদস্যদের কেনা কাটা ছিলো শীতের মোটা কাপড় সংগ্রহের। শৈত্য প্রবাহ ও শীত বাড়ায় চরাঞ্চলের মানুষ শীত কষ্টে ভুগছেন। এখনো সরকারি/বেসরকারি পর্যায়ে অসহায় মানুষগুলোর শীত কষ্ট নিবারণে কেউ এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। শীত বাড়লে সবচে’ বেশি দুর্ভোগের শিকার হয় চাঁদপুরের নদী সিকস্তি সাধারণ গরিব পরিবারগুলো। চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। শৈত্য প্রবাহ শুরু হওয়ায় শীত বাড়ছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে। আগামী কয়েক দিন শৈত্য প্রবাহ বেড়ে শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে। জানুয়ারি মাসে শীতের প্রকোপ আরো বাড়বে। সাথে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা বেশি।