কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১২ জন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সায়েম বলেন, নিহত দুজনের মধ্যে একজন পুলিশের কনস্টেবল। তাঁর নাম জহিরুল হক (৩৫)। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি। হামলাস্থল থেকে চাপাতি ও বোমাসদৃশ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া গুলিসহ একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে। আহতেরা কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, নিহত আরেকজন হামলাকারী হতে পারে বলে তাঁরা ধারণা করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, ঈদের জামাতের আগে শোলাকিয়া ঈদগাহ থেকে এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে আজিমুদ্দিন স্কুলের পাশে টহলরত পুলিশের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। দুর্বৃত্তদের ছোড়া বিস্ফোরক ও গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় শোলাকিয়া ময়দানে থাকা মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ শোলাকিয়া মাঠে যাওয়ার প্রধান রাস্তা স্টেশন রোড, গৌরাঙ্গবাজারের আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আজিমুদ্দিন স্কুলের চারপাশ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন। সেখান থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে আশপাশের মানুষেরা জানিয়েছে।
১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনা ঘটে। রাতভর জিম্মি ঘটনার পর সকালে কমান্ডো অভিযান চলে। এতে ২০ জিম্মি নিহত হন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই বিদেশি। এই হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গি দল আইএস।
এই হামলার আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই আবারও হামলার ঘটনা ঘটল।
সূত্র—প্রথম আলো