মতলব উত্তর:
মতলব উত্তর উপজেলার জামালকান্দি গ্রামে শ্বশুর ও দেবর কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে এক গৃহবধূ দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার ধর্ষিতার মা মাফিয়া বেগম বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শ্বশুর ও দেবরকে আটক করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৮ মাস পূর্বে মতলব উত্তর উপজেলার জামালকান্দি গ্রামের আব্দুল লতিফ প্রধানের ছেলে ফিরোজ প্রধানের সঙ্গে উপজেলার ছোট হলদিয়া গ্রামের মাফিয়া বেগমের মেয়ের বিবাহ হয়। বিয়ের ৩ মাস পর স্বামী ফিরোজ প্রধান স্ত্রীকে তার নিজ বাড়িতে রেখে প্রবাসে চলে যায়। এখন থেকে প্রায় ২ মাস পূর্বে এই গৃহবধূকে তার ঘরে একা পেয়ে দেবর হিরণ প্রধান (১৬) জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গৃহবধূ লোকলজ্জার ভয়ে তা কারো কাছে প্রকাশ করেনি। শুধুমাত্র তার অসুস্থ শ্বশুরকে জানিয়েছিল। শ্বশুর তো তার বিচার করেই নি, উপরস্তু অসুস্থ শ্বশুরকে সেবা করার সময় শ্বশুর আব্দুল লতিফ (৫৬)ও এক পর্যায়ে পুত্রবধূকে ধর্ষণ করে। পরে ওই গৃহবধূর শারীরিক পরিবর্তন ঘটলে প্রতিবেশী মহিলারা বুঝতে পারে সে অন্তঃসত্ত্বা। গৃহবধূর মা এ সংবাদ পেয়ে তার বাড়িতে এসে তাকে মেডিকেল টেস্ট করায়। মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায় গৃহবধূ ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ কথা জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে গত সোমবার গ্রাম্য সালিস বসলেও এর কোনো সুরাহা হয়নি।
তাই গৃহবধূর মা বিষয়টি মতলব উত্তর থানায় অবহিত করেন এবং এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর মতলব উত্তর থানা পুলিশ দেবর হিরণ প্রধান ও শ্বশুর আব্দুল লতিফ প্রধানকে আটক করে। পরে আটককৃতদের কোর্টে প্রেরণ করে।