আইন অনুযায়ী সংবাদপত্রের অনলাইন ভার্সন ও সংবাদপোর্টালগুলো টকশো ও সংবাদ বুলেটিন প্রচার করতে পারে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী নীতিমালার গেজেটটি তুলে ধরে বলেন, সম্প্রতি এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এটকো) নেতৃবৃন্দ আমাদের নজরে এনেছেন যে, কিছু পত্রিকার অনলাইন ভার্সন ও সংবাদ পোর্টাল অনলাইনে ‘টকশো’ এমন কি কেউ কেউ নিউজ বুলেটিনও প্রচার করছে যার কোনো অনুমতি নেই। আমরা আইনকানুন ঘেঁটে দেখেছি, আইন অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের দুই, চার ও ছয় উপধারার বিধান অনুসারে তারা এ ধরনের কিছু প্রচার করতে পারে না।
ডিজিটাল যুগে সংবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিডিও ক্লিপ দিলে আমি মনে করি সেটিতে নিয়মনীতির ব্যত্যয় হয় না। কিন্তু একেবারে টকশো কিংবা নিউজ বুলেটিন প্রচার করা নীতিমালা অনুমোদন করে না বলে মনে করেন ড. হাছান। তিনি বলেন, আমরা কোনো তদন্ত ছাড়াই পত্রপত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোর নিবন্ধন দিয়েছিলাম এই শর্তে যে, পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশ পায় সেটিই অনলাইনে প্রকাশ পাবে, সেটিও ভিন্ন হওয়ার কথা নয়।
এটকো এ বিষয়ে তাদের উত্থাপিত মৌখিক আপত্তি লিখিত আকারে দিলে আমরা আইনের ধারা-উপধারা উল্লেখ করে আমরা সংশ্লিষ্টদের জানাবো, জানান সম্প্রচারমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপি ও কিছু সংস্থার নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, এটি আমাদের সরকারের একনাগাড়ে চতুর্দশ বাজেট পেশ, এর আগে আরও ১৩টি বাজেট পেশ হয়েছে। গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে যখনই বাজেট পেশ করা হয়েছে, তখনই দেখা গেছে কিছু চেনা মুখ, চেনা সংগঠন সবসময় এই বাজেট নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছে।
তিনি বলেন, আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে যে বাজেট পেয়েছিলাম সেটি ৮০ হাজার কোটি টাকার কম ছিল। এখন সেই বাজেট আট থেকে নয়গুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকায়। মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে ১৩ বছরে ২৮০২৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪১ থেকে ২০ শতাংশের নিচে নেমে এবং অতি দারিদ্র্যের হার প্রায় ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। এটি বাস্তবতা। কিন্তু প্রতিবার বাজেটের পর চিহ্নিত কিছু ব্যক্তিবিশেষ, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা কখনই প্রশংসা করেনি।