প্রতিনিধি
বিয়ের ১০ বছরেও সন্তান ধারণে অক্ষম এমন অভিযোগে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারালেন ফরিদগঞ্জের গৃহবধূ জাহানারা বেগম। ঘটনার পর পুলিশ ঘাতক স্বামী ও দেবরকে আটক করে জেলহাজতে পাঠালেও জেল থেকে মামলার বাদীকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে চলেছে তারা। এমনকি ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ধামাচাপা দেবারও পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কে আছেন নিহতের ভাই শাহাদাত হোসেন মানিক।
মামলার এজাহার ও অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারি ফরিদগঞ্জের শাশিয়ালী গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারান জাহানারা বেগম (২৬)। ওই দিনই নিহতের লাশ উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্বামী মোঃ ইয়াসিন ও দেবর মোঃ মহসিনকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নিহতের বড় ভাই শাহাদাত হোসেন মানিক অভিযোগ করেন, গত ১০ বছর আগে তিনি বোনকে প্রবাসী মোঃ ইয়াসিনের কাছে বিয়ে দেন। সন্তান ধারণে অক্ষম এমন অভিযোগ তুলে বিভিন্ন সময় ভগ্নিপতি ও তার ভাইয়েরা জাহানারাকে মারধর করতো। গত ৩ জানুয়ারি ফের নির্যাতনের শিকার হয়ে বোরকা পরে বাবার বাড়িতে ফেরার পথে প্রাণ হারান জাহানারা।
শাহাদাত হোসেন মানিক আরো অভিযোগ করেন, এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে থাকা মোঃ ইয়াসিন ও মোঃ মহসিন মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, চাঁদপুর জেনারেল হাসাপাতালের চিকিৎসক বেলায়েত হোসেন বোনের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন দিতে টালবাহানা করছেন। এতে আশঙ্কা করা হচ্ছে ,প্রতিবেদন ধামাচাপা দেবার পাঁয়তারা করা হ্েচ্ছ। এদিকে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ব্যস্ততার জন্য ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব হচ্ছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক জানান, গৃহবধূ জাহানারা বেগমের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।