অভিজিত রায় ॥
সমাজ সেবা অধিদপ্তরের বিধিমালা লঘœনের কারনে গতকাল সোমবারে অনুষ্ঠিত রেলওয়ে হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ি সমিতির নির্বাচন। হকার্স মার্কেট নির্মিত হওয়া পর থেকেই হকার্স মার্কেট কল্যান সমিতির নামে একটি কমিটি মার্কেট পরিচালনা করে আসছে। তবে এ বছরই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রেজিষ্ট্রেশন ছাড়াই কার্যক্রম শুরু করে রেলওয়ে হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ি সমিতি।
এ ব্যাপারে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রতজ শুভ্র সরকার সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে যে কমিটির নাম দিয়ে নির্বাচন হচ্ছে তা অধিদপ্তরের ১৯৬১ ও ১৯৬২ সালের বিধিমালা লঘœন করে হচ্ছে। তাই অধিদপ্তর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় নির্বাচন বন্ধ করতে বাধ্য হয়। হকার্স মার্কেটের আরেকটি কমিটি রয়েছে সেই কমিটির সংবিধানে উল্ল্যেখ আছে কোনভাবেই অন্য একটি কমিটি করে সংগঠনে ফাটল সৃর্ষ্টি করা যাবে না।
এ দিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আসছিল। এতে তারা প্রচুর অর্থ খরচ করে হকার্স মার্কেট এলাকাসহ এর পাশ্ববর্তী এলাকা প্রার্থীদের পোষ্টারর ব্যানারে ছেয়ে যায়। প্রতিদিন চলে ভোটারদের নিয়ে প্রার্থীদের খাওয়া দাওয়ার আসর। নির্বাচনের আগের দিন রবিবার সন্ধ্যায় বড় আকারের একটি গরু এনে মার্কেটে ঘোড়ানো হয়। গরুটি নির্বাচনের দিন জবাই করে ভোজের আয়োজনের কথা ছিল।
নির্বাচন বন্ধের ব্যাপারে কয়েকজন প্রার্থীর সাথে আলাপ করেলে তারা নাম প্রকাশের না করার শর্তে বলেন, মার্কেটের জনৈক এক ব্যবসায়ি এডিএম কোর্টে একটি দরখাস্ত করেন এই মর্মে যে বর্তমান যে সমমিতির নামে নির্বাচন হচ্ছে তার রেজিষ্ট্রেশন নেই। এছাড়াও নির্বাচনে জামাত বিএনপি জোটের কিছু নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এডিএম কোর্ট পরবর্তীতে সমাজসেবা অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে বললে অধিদপ্তর মডেল থানাকে অবগত করে নির্বচন বন্ধের নির্দেশ দেয়। এছাড়াও বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের ফিল ভাল না থাকায় তিনিও নির্বাচন বন্ধে পায়তারা চালান। নির্বাচন তা হওয়ায় প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কিছু সীধান্তকেও দায়ী করছেন। কারন নির্বাচনের পূর্বে ওনারা সরকার দলীয় নেতাদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা করেননি।
নির্বাচনকে ঘিরে ব্যবসায়ি ও কর্মচারীদের মাঝে উৎসাহ থাকলে ঈদের আগে এমন সময়ে নির্বাচন দিন ধার্য করাটাকে অনেকেই ভাল চোখে নেননি। ব্যবসায়িরার বছরের দুইটি ঈদের জন্যই অপেক্ষা করে।