স্টাফ রিপোর্টার ॥
রেখা কর্মকার চাঁদপুর শহরের বাসিন্দা। দীর্ঘ নয় বছর আগে তার স্বামী ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি গ্রামের বিশ্বনাথ কর্মকার মারা গেলে বিধবা হন তিনি। দুই শিশু কন্যা সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। হিন্দু ধর্মীয় আইনে স্বামীর সম্পত্তির মালিক হতে পারবেন না, এমন নিয়ম থাকলেও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন, কন্যা দুটি সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামীর মৃত্যুর পর রেখা কর্মকারের নামে চাঁদপুর শহরের কুমিল্লা রোডস্থ একটি সম্পত্তি ক্রয় করে তার নামে অংশীদারিত্ব রাখে। সম্পত্তিটি হলো চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ রোডস্থ গোল্ডেন টাওয়ার বাড়িটির অংশীদার হিসেবে রেখার নামও অন্তর্ভূক্ত করেন তার ভাসুর সম্ভুনাথ কর্মকার, দেবর মেঘনাথ ও খোকন কর্মকার। সেই মানবতাটি একসময় বিষাক্ত রুপ নেয়। দুই মেয়ে সহ গোল্ডেন টাওয়ারে সুখে শান্তিতে বাস করতে থাকে রেখা। দিন যত গড়ায় রেখার মনে ষড়যন্ত্রের দানা বাঁধতে থাকে। শহরের বিভিন্ন কুচক্রি মহলকে সেই ষড়যন্ত্রের অংশীদার করে রেখা। বাড়ির মালিকানা দাবী করে শুরু করে প্রকাশ্য উৎপাত। কর্মকার পরিবারে নেমে আসে অশান্তির ছায়া। রেখা কর্মকার তার ষড়যন্ত্রের নাম প্রকাশ হিসেবে ২০১২ সালের ৫ মার্চ চাঁদপুর পৌরসভায় শশুর পরে লোকদের বিবাদী করে শহর ও গ্রামের বাড়ির সম্পত্তি বিক্রির উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের করে। এ মর্মে ২৭ জুলাই উকিল নোটিশ পাঠায়। অন্যথায় অন্যত্র স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করার হুমকিও দিতে থাকে। বিষয়টি সুরাহা করতে ঐ বছর ২ নভেম্বর তার স্বজনসহ চাঁদপুর শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সিদ্ধান্তক্রমে মহিলা কলেজ রোডস্থ বাড়ীর অংশ এবং গ্রামের বাড়ীর স্থাবর অস্থাবর ক্রয় বাবদ রেখাকে ২৭ লাখ টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক তার শ্বশুর পরে লোকেরা ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই চাঁদপুর সোনালী ব্যাংক মহিলা শাখায় তার ৬১৬৫নং হিসাব নম্বরে ২০ লাখ টাকা প্রদান করে। চাঁদপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে রেজিষ্ট্রি বায়না দলিল সম্পন্ন করে। বায়নাপত্র দলিল নং ৫৯৬৪/১৩। একইভাবে ফরিদগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসেও সাব কবলা দলিল প্রদান করে রেখা।
রেখা শুরু করে নতুন ষড়যন্ত্র। নগদ টাকা আর বায়না রেজিষ্ট্রিকে অধিকার করে চাঁদপুর আদালতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের করে সে। একইভাবে সদর থানা ও পুলিশ সুপার বরাবর দাখিল করে নানা রকম মিথ্যা অভিযোগ। এভাবেই একের পর এক প্রায় ডজন খানেক মামলা ও অভিযোগ দায়ের করে। চাঁদপুরের স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গের কাছে তার প্রতারণা ফাঁস হয়ে গেলে সে ভিন্ন কৌশল হিসেবে মামলার আশ্রয় নেয়। সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি বায়না করে নগদ টাকা বুঝে নেওয়ার পর একটি কুচক্রি মহলের ছত্র ছায়ায় রেখা তার এসব অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। তাই কর্মকার পরিবারটি এ নারীর হাত থেকে শান্তিতে বসবাসের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।