প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
প্রতিনিধি
প্রতারক আদম বেপারীর খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হওয়ার পথে একটি নিরীহ পরিবার। চাঁদপুর শহরের হাজী মহসিন রোডে বসবাসকারী কাজী নূর মোহাম্মদ তার ছেলেকে কানাডায় তেল কোম্পানীতে চাকুরির জন্যে চাঁদপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ সরোয়ারের (রুবেল) মাধ্যমে তার চাচাতো ভাইকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা প্রদান করেন। চাচাতো ভাই কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ষাইটশালা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মনিরুল হক (পাপ্পু)। টাকা নেয়ার সময় মনিরুল হক পাপ্পুর পার্টনার একই উপজেলার রাণী গাছ গ্রামের মাহাবুব আলম (বাবু), ষাইটশালা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, মোঃ শাহজাহান তাকে সহযোগিতা করেন। তারা সকলেই কাজী নুর মোহাম্মদকে আশ্বস্ত করে যে, তার ছেলে মাইনুল ইসলামকে কানাডায় তেল কোম্পানীতে চাকুরির ভিসা প্রদান করা হবে এবং সে ভালো ভেতনে চাকুরি করতে পারবে।
গত ২২ জানুয়ারি ২০১২ চাঁদপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী সরোয়ার রুবেলের মাধ্যমে চাঁদপুর জেলা এলজিইডি অফিসে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। কাজী নুর মোহাম্মদ তিন কিস্তিতে মোট সাড়ে ১৭ লাখ টাকা প্রদান করেন। তারপর কাজী নুর মোহাম্মদ তার ছেলের বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে সে কালক্ষেপণ করে নানা টালবাহানা করে যাচ্ছে। নানা কথা বলে নূর মোহাম্মদকে সান্ত্বনা দেয়। এমনকি ভুয়া ভিসার ফটোকপি নূর মোহাম্মদকে প্রদান করে। তাদের টালবাহানা দেখে পরবর্তীতে কাজী নূর মোহাম্মদ টাকা ফেরৎ চাইলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা তাকে হুমকি প্রদান করে। জানা যায়, চাঁদপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ সরোয়ার রুবেল এভাবে আরো বেশ ক�জনের কাছ থেকে টাকা নেয়। সরোয়ার রুবেল দীর্ঘদিন ধরে গোপনে আদম ব্যবসার সাথে জড়িত থেকে বহু পরিবারকে সর্বস্বান্ত করেছে বলে একটি সূত্র জানায়। সে মানুষের মনে সরলতার জন্ম দিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বিদেশ নেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। বর্তমানে কাজী নূর মোহাম্মদসহ অন্যান্য নিরীহ মানুষজন তাদের টাকা ফেরৎ পাওয়ার জন্যে প্রশাসনসহ বিভিন্নজনের নিকট ঘুরে বেড়াচ্ছে।