কবির হোসেন মিজি
আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে শিশু চুরির সন্দেহে পিয়ারা বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে আটক করেছে হাসপাতালের রোগীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দিবাগত রাত তিনটায় হাসপাতালের তৃতীয় তলার শিশু বিভাগে। চাঁদপুর সদর উপজেলার সাপদী গ্রামের দুলাল খানের স্ত্রী ঝর্ণা বেগম জানান, আমি গত শনিবার আমার এক মাস পাঁচদিন বয়সী দু শিশু পুত্র মোঃ হোসেন ও মোঃ হাসানকে ঠাণ্ডাজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি করাই। সোমবার রাতে আমি ঘুমিয়ে পড়লে পিয়ারা বেগম নামে এক নারী আমার সন্তান মোঃ হোসেনকে কোলে নিয়ে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করে। গেট বন্ধ থাকায় সে বের হতে পারেনি। আমার হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখতে পাই, আমার একটি সন্তান মোঃ হোসেন বিছানায় নেই। পরে পাশের রোগীদের কাছে জানতে পারি, ওই নারী আমার শিশু পুত্রকে কোলে নিয়ে বারবার গেট খোলার কথা বলছে। আমার সন্তানকে না পেয়ে যখন পাগলের মতো খুঁজি তখন হাসপাতালের অন্যান্য রোগীর লোকজন তাকে আটকে রাখে। পরে বিষয়টি হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষকে জানালে তারা পিয়ারাকে তাদের দায়িত্বে আটকে রাখে।
এ ব্যাপারে গতকাল দুপুরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, আমরা রোগীর সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে চিঠি দিয়েছি, পুলিশ যে ব্যবস্থা নেবে তাই হবে। পরে থানার এসআই জাহাঙ্গীর সঙ্গীয় ফোর্সসহ আটককৃত নারী চোরকে থানায় নিয়ে যান। চুরির ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পিয়ারা বেগম কেঁদে কেঁদে বলেন, আমি শিশুটিকে আদর করে কোলে নিয়েছি। হাসপাতালের কিছু নারী আমাকে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। আসলে আমি কোনো চুরি করার উদ্দেশ্যে এখানে আসিনি। পিয়ারা বেগম পুরাণবাজার মেরকাটিজ রোডের মৃত আলী হোসেনের স্ত্রী। সে দিন হাসপাতালে তার কোনো রোগী ছিলো না বা কাউকে সে দেখতেও আসেনি। তাই হাসপাতালে এসে তার রাতে থাকার বিষয়টিতে শিশু চুরির সন্দেহকে বাড়িয়ে দিয়েছে।