শাহরাস্তিতে গড়ে উঠা ১৮টি ইট ভাটার কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে। অনেক ব্রিক-ফিল্ডে ইট উৎপাদনে সরকারের নিয়ম-নিতী মানা হচ্ছে না। ইট উৎপাদনের মৌসূম শুরু হওয়ায় প্রতিটি ভাটায় ১০০থেকে ২০০ শ্রমিক ইট উৎপাদনে কাজ করছে। প্রত্যেকটি ব্রীক-ফিল্ডে ইট আগুনে পোড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। ইট তৈরীতে মাটি সংগ্রহ, কাচা ইট তৈরী, চুলা-চিমনি মেরামত, ইট পোড়ানোর পণ্য সংগ্রহ ইত্যাদি মালিক পক্ষ নিশ্চিত করেছেন। সব মিলিয়ে ব্রীক-ফিল্ড শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি মাসেই প্রথম পর্যায়ের ইট পোড়াতে পারবেন বলে ইট ভাটার মালিকরা আশা করছেন। কয়েকটি ইট ভাটায় ইট পোড়ানো শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার পৌরসভা, সূচিপাড়া পশ্চিম, সূচিপাড়া পূর্ব, চিতোষী পশ্চিম, চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নে ইট ভাটাগুলো অবস্থিত। বেশ ক’টি ইট ভাটায় পরিবেশ বান্ধব অবকাঠামো না থাকায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। সরকারী নিতীমালাকে তোয়াক্কা না করে চলতি মৌসূমে ইট ভাটায় ইট প্রস্তুত ও উৎপাদন পরোদমে চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার সচেতন নাগরিকগণ প্রশ্ন রেখেছেন, এ সব ব্রীক-ফিল্ডের জেলাপ্রশাসক কার্যালয় থেকে অনুমোদন দেয়া আছে কিনা খতিয়ে দেখা দরকার।
ব্রিক-ফিল্ডে ইট উৎপাদন করার সময় ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট, গাছ-গাছড়া ইত্যাদির উপর সীমাহীন প্রভাব পড়ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তা-ঘাট ও ফসলিজমি। ইট তৈরি করতে ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় সরবরাহ করার সময় কাচা-পাকা রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে ফসলি জমির মাটি কাটার ফলে ফসল উৎপাদন ব্যপকভাবে কমে যাচ্ছে। নির্বিগ্নে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। ইট পোড়ানোর সময় সৃষ্ট ধোঁয়ার আশে-পাশের ফসল, গাছ-গাছরা ও বাড়ি ঘরের উপর প্রভাব ফেলছে। এতে করে ফসল উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যহত হচ্ছে। ইট ভাটায় ইট ও মাটি সরবরাহের জন্য স্ব স্ব এলাকার আনাড়ি ও অদক্ষ ড্রাইভারগন ট্রাক্টর পরিচালনা করেন। ওদের মধ্যে অনেকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। ফলে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। ইট ভাটায় যেসব ট্রাক্টর ব্যবহৃত হয়-সেসব ট্রাক্টরের মধ্যে অধিকাংশ ট্রাক্টরের রেজিষ্ট্রেশন নেই। সংশ্লিট প্রশাসনের কার্যকর দৃষ্টি প্রয়োজন বলে এলাকার সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করেন।
ইট ভাটার শ্রমিকরা জানান, ইট উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় শ্রমিকরা দলবদ্ধ হয়ে কাজ শুরু করেন। দলনেতার অধীনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে ২ থেকে ৪টি গ্র“পে বিভক্ত করে কাজ বন্টন করে দেয়া হয়। মাটি কাটা থেকে শুরু করে ইট পোড়ানো পর্যন্ত পাকমেইল (কারিগর) গুরু দায়িত্ব পালন করেন । শাহরাস্তির ইট ভাটাগুলোতে উত্তর বঙ্গ থেকে শ্রমিকরা এসে কাজ করে। কর্মরত শ্রমিকরা ইট ভাটায় কাজ করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে। কাজ শেষে সময়মত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না বলে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।