বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ উন্নত । খুব সহজে এবং স্বপ্ল সময়ে এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় যাওয়া যায় । পরিবহণ ব্যবস্থা এতো সহজলভ্য ও খরচ সহনীয় যে দিনে কয়েকবার জেলা ও উপজেলায় যাতায়াত করা যায় । সারা বছর নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা ও পাঠদান অব্যাহত রাখার লক্ষে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি (সমমান) সব পরীক্ষা কেবল নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে নেয়া হলে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সারা বছর পড়াশোনা , ক্লাস ও নিয়মিত ক্লাসটেস্ট, রুটিন পরীক্ষা ও অন্যান্য বিষয়াদি সহজে নেয়া যায় । সুন্দর আগামী, উন্নত শিক্ষিত জাতি গঠন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ আশু প্রয়োজন :
(১) প্রত্যেক উপজেলায় সর্বোচ্ছ দুটি ৮ তলা ভবন নির্মান করা যায় ।
(২) জেলা সদর ও মহানগরে আনুপাতিক সংখ্যায় ৮-১০ তলা ভবন নির্মান ।
(৩) জেল খানার আদলে চারপাশে উঁচু দেয়াল ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা যায় ।
(৪) এ সকল কেন্দ্রে বিদ্যুৎ , পানি ও ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান ।
(৫) উপজেলা হতে একটু দুরে যানজট ও কোলাহলমুক্ত এলাকায় পরীক্ষা কেন্দ্র নির্মান করতে হবে ।
(৬) স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষা বোর্ড এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে পরীক্ষা পরিচালনা করতে হবে । কর্মরত কোন শিক্ষক পরীক্ষার ডিউটি পাবে না ।
(৭) অনলাইনে শিক্ষা বোর্ড বা মন্ত্রণালয় পরীক্ষার হলের ছবি দেখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ।
(৮) প্রশ্ন ছাপানো ব্যতিরেকে লক্ষ লক্ষ প্রশ্নের ভান্ডার হতে সকাল ৯.৩০ টায় অনলাইনে ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্ন প্রনয়ন ও পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে ।
এ পদ্ধতির সুবিধা :
(১) সারা বছর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা চলবে । ভালো ছাত্র তথা শিক্ষিত জাতি গড়ে উঠবে ।
(২) পরীক্ষার অজুহাতে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারবে না । ফলে শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে ।
(৩) শিক্ষকরা পরীক্ষার দায়িত্ব পালন হতে মুক্ত হবে বিধায় ক্লাসে সময় দিতে পারবে ।
(৪) নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেয়া যাবে । দেয়াল টপকানো, বাঁশের মাথায় উত্তর পাঠানো ও পরীক্ষার কেন্দ্র হতে বাহিরে প্রশ্ন নিয়ে যাওয়া বন্ধ হবে ।
(৫) অল্প সংখ্যক লোকবল দ্বারা পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে ।
(৬) মান সম্মত শিক্ষা ও পরীক্ষা নিশ্চিত হবে ।
(৭) প্রকৃত মেধাবীদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে।
(৮) এক বিষয়ে ফেল করা ছাত্রদের ফল প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে পরীক্ষা নেয়া যাবে । ফলে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে । পাশাপাশি ফেল করা ছাত্ররা দ্রুত পরীক্ষা দিতে পারবে ।
অসুবিধা :
(১) বিশাল অংকের বিনিয়োগ সংকুলান ।
(২) নকলে সহায়তাকারীদের ব্যবসায় ধ্বস ।
(৩) তিন চারটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করে গণ পাশের ব্যবসা ধ্বংস ।
(৪) পরীক্ষায় ডিউটি না পাওয়ায় শিক্ষকদের ব্যক্তিগত কোচিং বাণিজ্য শেষ ।
(৫) পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে আবাসন মেস গড়ে উঠবে।
(৬) নকলবাজ ও অপড়ুয়া ছাত্রদের পাশ অনিশ্চিত হবে ।
সার্বিক বিবেচনায় একটি শিক্ষিত ও উন্নত জাতি গঠন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে এখনই কাজ শুরু করা দরকার । উল্লেখ্য , পিএসসি পরীক্ষার আদৌ প্রয়োজন নেই !
লেখক- প্রাক্তন এডিসি ও ডিডিএলজি, চাঁদপুর।
বর্তমানে ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর(স্মার্ট কার্ড),
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ঢাকা
বর্তমানে ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর(স্মার্ট কার্ড),
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, ঢাকা