মিজানুর রহমান রানা
রোববার চাঁদপুর কাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদীতে ব্যবহৃত মৎস্য আহরণ উপকরণ এবং মৎস্য সম্পদের ওপর এদের প্রভাব’- শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব শেলীনা আফরোজা বলেছেন, আজকে জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে, ৭/৮ সালে সেটা হয়েছে ৬ হাজার মে. টন, আজকে সেটা হয়েছে ৮৭ থেকে ৯০ মে. টন। এ সরকার জেলেদের প্রতি অনেক সমবেদনা প্রকাশ করেছে। সরকার নির্দিষ্ট সময়ে জেলেদের মাছ ধরতে নিষেধ করে আবার চালও তিপূরণ হিসেবে দেয়। ৪০ কেজি চাল জেলেদের কাছে পৌঁছানোর দায়িত্ব মৎস্য মন্ত্রণালয়ের নয়। মৎস্য মন্ত্রণালয় একটা সংশ্লিষ্টতা তৈরি করে। এটা ভিজিএফ-এর দায়িত্ব। তাদের কাছে আমরা চিঠি লিখি যে, জেলেদের জন্যে ৪০ কেজি করে চাল দিলে জেলেরা উপকৃত হবে। যারা প্রকৃত জেলে তাদেরকে ন্যাশনাল আইডির চেয়েও একটি মূল্যবান আইডি তুলে দেয়া হচ্ছে। কেউ যদি মনে করেন প্রকৃত জেলেদের কাছে এ কার্ড পৌঁছে না, তাহলে আমি বলবো জেলেদের জন্যে তৈরি করা এ কার্ডে জেলেদের প্রকৃত ডাটা লিপিবদ্ধ করা আছে এবং আমরা চেষ্টা করছি সঠিকভাবে কাজ করতে। তিনি মিডিয়া কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যারা মিডিয়া কর্মী আছেন, তাদের কাছে অনুরোধ আপনারা তথ্য বিকৃতি ঘটাবেন না। আপনারা প্রকৃত তথ্যগুলো তুলে ধরবেন। সরকার জেলেদের জন্যে নানা সেমিনার, পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দেশের মৎস্য সম্পদের সুন্দর ব্যবস্থাপনা করার জন্যে কাজ করছে। এ েেত্র সরকারের এ কাজে যাতে মধ্যসত্ত্বভোগীরা সুবিধা করতে না পারে সেজন্যে আপনারা সজাগ থাকবেন।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নূরুল্লাহ নূরী, চাঁদপুর প্রেসকাবের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুর রহমান, ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য পরিচালক মো. জাকির প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি ইকরাম চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএম হান্নান, দৈনিক চাঁদপুর বার্তার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শহীদ পাটওয়ারী, চাঁদপুর প্রবাহের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রহিম বাদশা, চাঁদপুর কণ্ঠের মো. মিজানুর রহমান, জাতীয় মৎসজীবী প্রতিনিধি মো. তসলিম বেপারী প্রমুখ।
শিরোনাম:
বুধবার , ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১০ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।