গত নির্বাচনপূর্ব সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে এবার আন্দোলনে নতুন কালচার যোগ হয়েছে। আন্দোলনকারীরা রাস্তার পাশের বিশাল বিশাল গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ করে। আর এই কাটা গাছ নিয়ে লোকমুখে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক বাণিজ্যের কথা শুনা গেলেও হঠাৎ করে প্রথম বারেরমত হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়া গেল বরিশালের কাঠ ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবিরের ‘স’ মিলে। দ্বিতীয়বার গৃদকালিন্দিয়ার একটি ‘স’ মিলের মালিক আবুল খায়েরকে গাছের টুকরাসহ থানায় নিয়ে গাছ বাণিজ্যের জট খুলতে থাকে।
অবরোধ চলাকালীন সময়ে ফরিদগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতা ইস্কান্দার উপজেলা বনকর্মকর্তা সফিকুল আমিন আপেলকে গৃদকালিন্দিয়া বাজারে নেতা-কর্মীরাসহ অবরুদ্ধ করে বলছিলেন আপনি আপেলের নির্দেশে গাছ কাটা হয় এবং আপনার আত্মীয় ‘স’ মিলের মালিক আপেলের নিকট আপনি তা বিক্রয় করেন। গত ৫ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার রাতে কথাটির সত্যতা হাতে নাতে মিলেছে। আপেলের ‘স’ মিলে না পাওয়া গেলেও অন্যান্য ‘স’ মিলে এবং অনেকের বাড়িতে বিক্রয়করা গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিমতে রাস্তার কাটা গাছের এক তৃতীয়াংশ উপজেলায় জমা করা হয়েছে। তাহলে বাকী গাছ গেল কোথায়?
রূপসা রাস্তার মোড়ে হুমায়ুন কবিরের ‘স’ মিলে বনকর্মকর্তা আপেল কর্তৃক বিক্রিত ৫টি গাছের খণ্ড সাংবাদিক ও এলাকাবাসী কর্তৃক আটকের পর এবং গৃদকালিন্দিয়ার আবুল খায়েরের ‘স’ মিল থেকে আরো কয়েকটি টুকরা উদ্ধারের পর গাছ বাণিজ্যের জট খুলতে থাকে। এলাকাবাসী ও সচেতনমহল বলাবলি করছে, ‘স’ মিল থেকে নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক গাছের টুকরা জব্দ হওয়া সত্বেও এর কোন প্রতিকার হবেনা এবং হয়নি।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে যুগের পর যুগ ধরে সফিকুল আমিন আপেল এই উপজেলাতেই চাকুরি করে যাচ্ছে। একত্রে আরো দু’-একটি স্টেশনের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়েছেন মাঝে মধ্যে, সেই সাথে বদলী না হওয়ার সকল প্রক্রিয়াও করে রেখেছেন। দলীয় প্রভাবে ও নামমাত্র মূল্যে টেণ্ডার দেখিয়ে রাস্তার বহু গাছ ইতিমধ্যে কেটে নিয়ে গেছে রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। সম্পদ হারিয়েছে এলাকার জনগণ। সরকার বা জনগণ নয়, লাভবান হচ্ছে একটি চক্র ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
শিরোনাম:
সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।