শওকত আলী
চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী এম.ভি তাকওয়া লঞ্চ থেকে চলন্ত অবস্থায় নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়া নিখোঁজ সাংবাদিক আওরঙ্গজেব সজীব আহম্মেদের লাশ ৪ দিন পর ধলেশ্বরী নদীতে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় মুন্সিগঞ্জ এলাকার নোয়াগাঁও ড. ইয়াজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের পিছন থেকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানালে পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইউনুছ। তিনি আরও জানান, সাংবাদিক আওরঙ্গজেবের পরিবারকে খবর পাঠানো হয়েছে। তারা লাশ সনাক্ত করে ময়না তদন্ত শেষে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
সাংবাদিক সজিব বগুড়ায় ৬মাস পূর্বে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে হতাশায় ভুগছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে হতাশা থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এমনটি জানালেন চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মোঃ এরশাদ আলম। নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি.এম নুরুজ্জামান বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পারিবারিক কলহের কারনেই সাংবাদিক সজিব নদী ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। সাংবাদিক আওরঙ্গজেব সজিব বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা ভিশনের ঢাকা মেডিকেল প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের স্টাফ রির্পোটার সহ আরো কয়েকটি মিডিয়ায় কর্মরত ছিলেন। রোববার রাতে সজিবের ১ম স্ত্রী মোরশেদা বেগম নিশী ও তার ছেলে নুর মোহাম্মদ সোহান সহ আত্মীয় স্বজনরা চাঁদপুর নৌ-ফঁড়িতে আসেন এবং সজিবের লঞ্চে রেখে যাওয়া মোবাইল, মানি ব্যাগ সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নৌ-পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নেন। এদিকে তার ২য় স্ত্রী রুবি বেগম ও শ্বশুর বাড়ীর আত্মীয় স্বজনরা তার মৃত্যুর খবর শুনে চাঁদপুর নৌ-পুলিশের ইনচার্জের কাছে থাকা সাংবাদিক সজিবের মোবাইলে ফোন করেন বলে জানান, চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ। উল্লেখ্য গত রোববার চাঁদপুরগামী এম.ভি তাকওয়া লঞ্চে উঠে মুন্সিগঞ্জ মুক্তারপুর ব্রিজের কাছে সাংবাদিক সজিব নদীতে ঝাপ দেন।