স্টাফ রিপোর্টার:
সাইকোসিস ইলেন্স রোগে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ দিঘলদী ইসলামিয়া জাফরিয়া দাখিল মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণীর ১২ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরা হলো মতলব উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী গ্রামের ওই মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী তাসলিমা আক্তার (১৩), জান্নাত আক্তার (১৫), শান্তা আক্তার (১৪), ৮ম শ্রেণীর নূরজাহান আক্তার (১৩), শান্তা আক্তার (১৪) ও ৭ম শ্রেণীর পান্না আক্তার (১৪)। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার ও ১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে।
অসুস্থদের স্বজন এবং মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্রী জানায়, গতকাল সকালে তারা প্রতিদিনের ন্যায় যার যার মতো করে মাদ্রাসায় যায়। তারপর সবাই সারিবদ্ধভাবে মাদ্রাসার মাঠে দাঁড়িয়ে পিটি করেছে, তখন একটু রোদের তাপ ছিলো। পিটি শেষ হতেই সবাই ক্লাসে যাওয়ার সময় প্রথমে একজন ঘুরে মাটিতে পড়ে গেলে তারপর এক এক করে আরো ৬ জন ছাত্রী ঘুরে পড়ে যায়। পরে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সহযোগিতায় তাদেরকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তারা হাসপাতালের ৪র্থ তলার মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা আরো জানায়, তার আগের দিন শনিবার সকালেও মাদ্রাসায় যাওয়ার পর একইভাবে ৫ জন ছাত্রী ঘুরে পড়ে যায়। তারা হলো ৮ম শ্রেণীর জান্নাত, হাওয়া, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর আমেনা, রূপা এবং ১০ম শ্রেণীর রাবেয়া। তারাও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। এই ঘটনার পরপরই মাদ্রাসার সকল ছাত্রীকে ছুটি দিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার মাওঃ খলিলুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আসলে কী কারণে তারা এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লো, তাতো আমি বলতে পারবো না। সেটা চিকিৎসকরাই ভালো বলতে পারেন। তবে শনিবার সকালেও একইভাবে ক’জন ছাত্রী ঘুরে পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, গত বছরও একটি স্কুলের বেশ ক’জন ছাত্রী এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই রোগীগুলো আমি দেখিনি, তারা কী কারণে অসুস্থ হলো তা বলতে পারবো না। তবে তাদের যে বয়স এমন বয়সে অনেক মেয়ের ক্ষেত্রেই শরীর দুর্বল থাকে। তারা ভয় এবং আতঙ্কের কারণে এমন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ রোগটিকে বলা হয় সাইকোসিস ইলেন্স। এতে ভয়ের কোনো কারণ নেই। তারা অচিরেই সুস্থ হয়ে উঠবে।