শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুরের সাবেক এমপি জিএম ফজলুল হকের ছোট ভাই আব্দুল হক ঢাকা গাজীপুর থেকে চাঁদপুরে আসার পথে চিটাগং রোডে দূর্বৃত্তদের হাতে খুন হয়। রাস্তার পাশ থেকে সোনারগাঁও থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পরিচয় না পেয়ে বেওয়ারিশ ভেবে আঞ্জুমানের কাছে হস্তান্তর করে। পরে নারায়নগঞ্জ চাসারা কবরস্থানে দাফন করা হয়। এমজি জিএম ফজলুল হকের ভাই নিখোঁজের পর ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজির পর ২০ জানুয়ারী অবশেষে সোনারগাঁও থানায় গিয়ে তার কাপড় ও ছবি দেখে সনাক্ত করে
আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে ৬দিন কবর থেকে লাশ উত্তোলণ করে চাঁদপুর নিজ বাড়ীতে জানযাশেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। গত ১৮ জানুয়ারী রাতে চাঁদপুরে আসার পথে সিএনজি থেকে নামিয়ে দূর্বৃত্তরা শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে মদনপুর এলাকায় ব্রিজের নিচে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। জানা যায়, ১৯ জানুয়ারী দুপুরে পথচারীরা রাস্তার পাশে আবদুল হকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে সোনারগাঁও থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ বিকেলে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লাশটির ময়না তদন্ত শেষে ২০জানুয়ারী আঞ্জুমানের কাছে হস্তান্তর করার পর তারা লাশটি বেওয়ারিশ ভেবে দাফন করে। ঘটনার দিন আব্দুল হক তার বড় সাবেক এমপি জিএম ফজলুল হকের গাজীপুরের ফুয়াং থাই কোম্পানীর ফ্যাক্টরী থেকে ট্রান্সফোর্ট যোগে চিটাগং রোডে আসে। সেখান থেকে সে সিএনজিতে উঠে মেঘনা ব্রিজে আসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। তার উদ্দেশ্যে ছিলো মেঘনা ব্রিজ থেকে সিএনজি যোগে সহজ পথে মতলব উত্তর দিয়ে চাঁদপুরে আসার। কিন্তু তিনি মদনপুর আসার পর রাতে দূর্বৃত্ত ও ছিনতাইকারীরা সিএনজিটি গতিরোধ করে তার সাথে থাকা মোবাইল ও নগদ অর্থসহ মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যা করে রাস্তার পাশে পেলে পালিয়ে যায়। আব্দুল হক ছিলেন ফুয়াং থাই কোম্পানীর ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজার। তিনি চাঁদপুর শহরে গুয়াখোলা রোডে স্বপরিবারে বসাবাস করতেন। তিনি স্ত্রী ১ ছেলে ২ মেয়ে রেখে মারা যান। তার মৃত্যুর খবর শুনে পবিরারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। গতকাল তাকে চাঁদপুর আনার পর হাজার হাজার মানুষ এসে তার গ্রামের বাড়ীতে জড়ো হয়। এই সময় বাহাদুরপুরের পীর সাহেবের ছেলে তার জানাযা নামাজ পড়ান। জানাযায় চাঁদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান মো. সফিকুজ্জামান, গুয়াখোলা এলাকার কাউন্সিলর হোসেন, অ্যাড. জসিম মেহেদী, মাইনুদ্দিন মানু, মো. তাহের প্রমূখ, জুয়েল, শাহজাহান, হাবীব গাজীসহ বিএনপি নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাবেক এমপি ব্যবসায়ীক কাজে বিদেশে অবস্থান করায় তার ভাইয়ের জানাযায় অংশ গ্রহন করতে পারেনি।