স্টাফ রিপোর্টার:
রসু খাঁ প্রেমের অভিনয় করে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরি করতে আসা নারীদেরকে চাঁদপুর, ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর এলাকায় এনে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে নির্জন স্থানে কিংবা ঝোপ-ঝাড়ে ফেলে পালিয়ে যেতো। পুলিশ সেসব নারীর লাশ অজ্ঞাত পরিচয়ে উদ্ধার করে আঞ্জুমানের মাধ্যমে দাফন করেছে। রসু খাঁ আটকের পর চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ থানায় ১০টি মামলা হয়েছিলো। এর মধ্যে ১টি হত্যা মামলা বাকি ৯টি ছিলো নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা। কিলার রসু খাঁর মামলাগুলো চাঁদপুর থেকে বিভাগীয় বিচারের আসায় চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১টি মামলায় রসু খাঁ খালাস পেয়ে যায়। বাকি মামলাগুলো ট্রাইব্যুনাল চাঁদপুর আদালতে পাঠিয়ে দেয়। ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল খুলনা জেলার দৌলতপুর উপজেলার কলমচক গ্রামের ঢাকার গার্মেন্টস কর্মী শাহিদা আক্তার হত্যা ও ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। শাহিদাকে ২০০৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সোবহানপুর গ্রামের আবিদ মালের বাড়ির পাশের ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে এনে হত্যা করা হয়। ওইদিনই চাঁদপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করা হয়। ২০১৫ সালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর রসু খাঁকে ফাঁসির আদেশ দেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১টি ও অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতে ৭টি মামলা এখনো চলমান অবস্থায় রয়েছে। রসু খাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে ৭টি মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও ১টি মামলার যুক্তিতর্ক গ্রহণের পর্যায় রয়েছে। তবে কবে নাগাদ এসব মামলা শেষ হবে তা বলতে পারছে না কেউ। রসু খাঁ বর্তমানে চাঁদপুর কারাগারে রয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রসু খাঁ এখানে সুস্থ্য রয়েছে। সে ২নং কনডেম সেলে রয়েছে। অসুস্থ্য হলে তার চিকিৎসা কারা কর্তৃপক্ষ করছে।