শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে সিএনজি স্কুটার চালককে শ্বাসরোধ করে হত্যার নের্পথ্য ইয়াবা পাচার ও ভাগভাটয়ারা নিয়ে বাগবিতন্ড। এই হত্যার ঘটনায় সন্দেহবাজন পশ্চিম শ্রীরামদি খালের দক্ষীনপাড় ফজল বেপারির ছেলে সোহেল(২৮)কে পুলিশ আটক করে। তাকে আটকের পর হত্যার ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে কোন রহস্য উৎঘাটন করতে পারেনি। পরে আসামি সোহেলকে আদালতে প্রেরন করলে তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, পুরাণবাজার মোম ফ্যাক্টরী এলাকার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মাঝির পুরাতন বাড়ির ভাড়াটিয়া আইয়ুব আলী সিকদারের বড় ছেলে সুমন সিকদার(২২)রাতে সিএজি স্কুটার চালিয়ে বিভিন্ন জায়গার মাদক বহন করে মাদক ব্যাবসায়িদের কাছে পূছে দিতো। পুরানবাজারের কয়েকজন মাদক ব্যাবসায়ি ইয়াবা বহন করে আনার জন্য সুমন সিকদারকে ব্যাবহার করতো। মাদক আনা নেওয়ায় ঘটনা ও ভাগভাটয়ারা নিয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। এর সাথে বেশ কয়েকজন মাদক ব্যাবসায়ি জরিতো রয়েছে বলে অনেকের ধারনা। পুলিশ এই ঘটনায় ১ আসামিকে আটক করলেও মূল আসামিরা অন্তরালে থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের আটক করলে মূল রহস্য উৎঘাটন করা সম্ভব হবে। পুরাণবাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই জাহাঙ্গির আলম জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে সুমন সিকদারকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় এক জন আসামিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর সাথে যারা জরিতো রয়েছে তাদেরকে আটক করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে ও এর মূল রহস্য উৎঘাটন করা হবে।
উল্লেখ্য, শহরের পুরাণবাজারে সিএনজি স্কুটার চালককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ১১ জুলাই সোমবার সকালে স্থানীয়রা সুমন সিকদারের লাশ পুরাণবাজার বৌবাজার নামক স্থানের ফজল বেপারী বাড়ির পেছনে একটি কাদাযুক্ত ডোবায় পড়ে থাকতে দেখে ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেয়। সোমবার ভোরে ওই সিএনজি চালকের লাশ ডোবা থেকে উদ্ধার করেছে পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এই ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দয়ের করা হয়েছে।