প্রতিনিধি
চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ্ মাহমুদপুর ইউনিয়নের আলুমুড়া গ্রামে সমবায় থেকে নিবন্ধন নিয়ে সেবক ডিজিটাল বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ গ্রাহকের সাথে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাযায়, গতকাল ৭ এপ্রিল সোমবার মাছুম বিল্লাহ অভিযোগকৃত সমিতির কার্যকরি পরিষদের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতি স্ট্যাম্প ও চেক আদায়ের লক্ষে চাঁদপুর আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা হচ্ছেঃ সমিতির ম্যানেজার মোঃ মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী, সভাপতি নুরুজ্জামান পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদা আক্তার, কোষাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন, সহ-সভাপতি মশিউর রহমান খান, যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন গাজী। একই বিষয়ে চাঁদপুর জেলা সমবায় কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ এনে গত রোববার মাছুম বিল্লাহ একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মোঃ মাছুম বিল্লাহ উল্লেখিত সমিতি থেকে গত ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর তারিখে ৮ মাসে বার্ষিক ২০% মুনাফা হারে মাসিক কিস্তি হিসেবে ৩লাখ টাকা ঋণগ্রহণ করে। যার বিপরীতে তিনি চলতি বছরের জানুয়ারী মাস পর্যন্ত ১লাখ ৩৫হাজার টাকা সমিতি বরাবর পরিশোধ করেন। কিন্তু সমিতির ম্যানেজার ১লাখ ৩৫হাজার টাকার কোন প্রাপ্তি রশিদ প্রদান করেননি। সমিতি এলাকার আরেক সদস্য রিপন পাটওয়ারীর ৩০হাজার টাকা সমিতি থেকে ঋণ গ্রহণ করলে, তার বিপরীতে ম্যানেজার ও সমিতির অন্যান্য লোকজন দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। পরে ৯০হাজার টাকা আদায় করে। এছাড়াও একাধিক পরিবারকে এ সমবায় সমিতির নাম ভাঙ্গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ম্যানেজার মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী মাছুম বিল্লাহকে ঋণ প্রদান করার সময় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ হাজীগঞ্জ শাখার ব্যাক্তিগত অলিখিত ৩টি চেকের পাতা, পাসপোর্ট সাইজের ছবি ৩টি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিসহ সমিতির যাবতীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেন এবং ঋণ ফরমে মোতাহের হোসেন ও নজরুল ইসলাম নামে দু’জন স্বাক্ষী প্রদান করেন।
কিন্তু অভিনব কায়দায় জাল জালিয়াতির উদ্দেশ্যে প্রকল্প পরিচালক মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী সমবায়ের বরাত দিয়ে ৩শ’ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মাছুম বিল্লাহর ভাড়ায় চালিত গাড়ি (যার নং- ঢাকা মেট্টো চ-১৪-২১৭৮) গাড়িটি ঋণের বিপরীতে বন্দক লিখিয়ে নিজের নামে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করেন। মাছুম বিল্লাহর গ্রহীত ঋণের পরিমাণ ৩লাখ টাকা থাকলেও এফিডেভিটে জালিয়াতির উদ্দেশ্যে সে ৪লাখ ৩৫হাজার টাকা লিপিবদ্ধ করেন। একই ঋণে প্রতারণার উদ্দেশ্যে মেয়াদ দেয়া হয় ৩মাস। এতে সে উল্লেখ করে এই ৩মাসের মধ্যে উল্লেখিত টাকা পরিশোধ করতে না পারলে গাড়িটি তার নিজ নামে লিখে নিবেন। গাড়িটির বর্তমান বাজার মূল্য ২১ লাখ টাকা। তার এ কার্যকলাপ সমবায় আইনের কোন নিয়ম নীতির মধ্যে নেই।
এ ব্যাপারে মনিরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করে তার কার্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি এবং মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। তার এ ধরণের কর্মকান্ডে এলাকাবাসী এখন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী সদস্যরা তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
শিরোনাম:
রবিবার , ২০ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।