মিজানুর রহমান রানা
চাঁদপুরের ভয়াল মেঘনা মোহনায় প্রতি দিন মধ্যরাতে চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকার সেলিম মাঝির নেতৃত্বে শত শত যাত্রী ও কাঁচামাল এবং মাছের ঝুড়ি দক্ষিণাঞ্চলের ৫টি লঞ্চ থেকে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইউনিটের সামনে নামালেও তারা যেন দেখেও না দেখার ভাণ করছে।
জানা যায়, যেখানে চাঁদপুরের মেঘনা মোহনায় লঞ্চ স্টিমার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সেখানে দক্ষিণাঞ্চলে ৫টি লঞ্চ যথাক্রমে এমভি সাব্বির ২ ও ৩, এমভি কর্ণফুলি ৩ এবং এমভি রাসেল লঞ্চ থেকে প্রতিদিন মধ্যরাতে মেঘনা মোহনায় কখনো কখনো লঞ্চ থামিয়ে আবার কখনও লঞ্চগুলো সামান্য রানিং রেখে সেলিম মাঝির নেতৃত্বাধীন কয়েকটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে প্রতি মধ্যরাতে শতাধিক যাত্রী উঠানো এবং নামানোর কাজ করছে। শুধু তাই নয়, এই ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে যাত্রীদের সাথে প্রতিদিনই দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা এসকল লঞ্চগুলোতে কাঁচামাল ও মাছের ঝুড়ি জীবনের ঝুকি নিয়ে নৌকার মাঝিরা বড় স্টেশনের মাছঘাটে এনে এগুলো বিক্রি করছে। আর যাত্রীদেরও চাঁদপুরের ঘাটে পৌছে দিচ্ছে। যেখানে প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে চাঁদপুরের এই মেঘনা মোহনাকে নিয়ে সরকার যাত্রী ও লঞ্চগুলো জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেয় এমনকি চাঁদপুরের লঞ্চঘাটটিকে স্থানান্তর করে বিকল্প লঞ্চঘাট হিসেবে মাদ্রাসা রোড লঞ্চঘাটটি ব্যবহার করে। সেখানে মেঘনা মোহনায় এ ৫টি লঞ্চের লঙ্কাকাণ্ড দেখে সাধারণ জনগণ অনেকটাই হতবাক হয়ে যায়। চাঁদপুরের এ মেঘনা মোহনায় ইতিহাসের আলোকে বর্ষার এই মৌসুমে বহু লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে হাজারো যাত্রীর সলিল সমাধি ঘটে সেখানে ভয়ানক এ স্রোতের মাঝে এ ৪টি লঞ্চ একজন সেলিম মাঝির নেতৃত্বে প্রতি মধ্যরাতে শত শত যাত্রী লঞ্চ থেকে নামানো এবং প্রায় শতাধিক ঝুড়ি মাছ ও কাঁচামাল এ লঞ্চ থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নামানো কতটুকু যুক্তিসঙ্গত তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। চাঁদপুরের কোস্টগার্ড কারেন্টজাল, জাটকা বিরোধী অভিযান সাফল্য জনক অভিযান পরিচালনা করলেও তাদের চোখের সামনে দীর্ঘ দু’মাস যাবত ভয়ানক এই অবৈধ কাজটি প্রতি মধ্যরাতে চালালেও আইনগত কোনো ব্যবস্থা কেনো নেওয়া হচ্ছে না এটি এখন সাধারণ জনগণের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, নৌ পুলিশ ফাঁড়ি এবং নৌপথে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর সরকারি তদারকি সংস্থা বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডগুলো চোখের সামনে দেখলেও না দেখার ভান করায় জনমণে রহস্য দেখা দিয়েছে। জানা যায়, এই দায়িত্বে থাকা সেলিম মাঝি সরকারি এ সকল সংস্থাগুলোকে ম্যানেজ করেই এ সকল অবৈধ কাজ করে আসছে। সেলিম মাঝির এহেন কর্মকান্ডে এবং কোস্টগার্ড নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের নীরবতার কারণে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দক্ষিণাঞ্চলের এবং চাঁদপুর ঢাকার লঞ্চ সুপারভাইজাররা সহ স্থানীয় জনগণ এই নিয়ে কানাঘুষা করলেও কর্তৃপক্ষ যেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। তাই চাঁদপুরের এই মেঘনা মোহনায় আবারও কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে দেশবাসীর কাছেই শুধু নয়, বিশ্ববাসীর কাছে যেন এই চাঁদপুরের মেঘনা মোহনা নিয়ে আবার কোনো সংবাদের শিরোনাম না হয় সেই বিষয়টি খেয়াল রেখে সেলিম মাঝি সহ ৫টি লঞ্চের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিবেন এবং অবৈধ এ কাজটি বন্ধ করবেন এটিই এখন চাঁদপুরবাসীর কাম্য।
শিরোনাম:
সোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।