জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, সৌদি আরব থেকে
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সৌদি আরবের প্রাদেশিক অঞ্চলগুলোতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে বইছে নির্বাচনী হাওয়া।
সৌদি আরবের যে ক’টি প্রদেশে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের আসা-যাওয়া হয় বেশি সে সব জায়গাতেই বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রতিনিয়তই চলছে আলোচনা সভা, চলছে কমিটি গঠন। আবার কেউ কেউ ছুটি নিয়ে দেশে যাচ্ছেন। আবার দেশ থেকে আসছেন প্রবীণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, যারা বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক হিসেবে কাজ করছেন।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে প্রতিদিনই রয়েছে বাংলাদেশের কোনো না কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম। আর এ দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে বর্তমান বিরোধী দল বিএনপি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় পার্টির কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে।
সৌদি আরবের রাজনীতির মাঠ হিসেবে রয়েছে রিয়াদ, জেদ্দা, মক্কা, মদিনা, দাম্মাম, আল জোবাইল। বিশেষ করে রিয়াদ, জেদ্দা, মদিনা আর দাম্মামে রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় কমিটি। বড় দু’টি দলের মধ্যেও রয়েছে গ্রুপিং। যার যার মতো করে করছে সভা-সেমিনার, চালাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণা। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন নেতিবাচক দিক প্রবাসীদের সামনে তুলে ধরছেন বিএনপি নেতারা। অপরদিকে পিছিয়ে নেই আওয়ামী লীগ নেতারাও। বর্তমান বিরোধী দল বিএনপি বিগত দিনে ক্ষমতায় থাকাকালে কী কী কর্মকাণ্ড করেছে তা কর্মীদের সামনে তুলে ধরছেন। তবে আওয়ামী লীগের নেতাদের তেমন একটা প্রোগ্রাম করতে দেখা যায় না।
এক কথায় প্রবাসে বইছে নির্বাচনী উত্তাল হাওয়া। বাংলাদেশের রাজনীতি এখন প্রবাসের মাটিতে চলছে প্রতিযোগিতামূলকভাবে। দিনে কাজ করছেন। রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চলছে সভা সেমিনার। আবার কেউ হোটেল বুকিং দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করছেন। প্রবাসে থাকা ফ্যামিলিগুলো যোগদান করছে সেই সব অনুষ্ঠানে। সৌদি সরকারের অনুমতি না থাকায় রাস্তায় কেউ নামতে পারছে না। তাই চার দেয়ালের মাঝেই চলছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। আবার কেউ কেউ নির্বাচনী প্রার্থী হতে দলীয় হাই কমাণ্ডের সাথে যোগাযোগ রাখছেন।