প্রতিনিধি
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হারুন-অর-রশিদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম । মাত্র ১৫ দিন বয়সী শিশু সন্তানকে নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে তার স্ত্রী নুসরাত সুলতানা পলি। ২ ভাই ৩ বোনের মধ্যে সকলের আদরের ছিল হারুন। নিজের ও পরিবারের ভাগ্য ফেরাতে গত আড়াই বছর পূর্বে সৌদি আরবে যান ফরিদগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াশালা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে হারুনুর রশিদ। কাজ করতেন টয়োটা কোম্পানীতে। ২৫ মে আল কোন ফুদা এলাকায় মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় আরো ৪ বাংলাদেশীসহ নিহত হন তিনি ।
হারুনের বড় ভাই নূর হোসেন বলেন, দু ভাই এক সাথে সৌদি আরবে থাকি। মাত্র দুই মাস আগে আমি বাড়ি আসার পর সেখানে ফিরে যায় হারুন। ঘটনার সময় হারুন ও অন্য বাংলাদেশীরা মিলে তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে একটি নোহা মাইক্রোবাসে করে যাচ্ছিল। এ সময় পেছন থেকে দ্রুতগতির আরেকটি গাড়ি এসে তাদের বহনকারী গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। এতে ঘটনাস্থলেই হারুনসহ অন্যরা নিহত হয়।
হারুনের শ্বশুর গাজী ফারুক বলেন, আড়াই বছর আগে আমার মেয়ের সাথে হারুনের বিয়ে। মাত্র ১৫ দিন আগে তাদের ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। নাম রাখা হয় হামিম বিন হারুন। এখন আমার মেয়ে এই শিশু সন্তান নিয়ে কোথায় যাবে। এখন আমাদের একটাই দাবি, অতি দ্রুত হারুনের লাশটি আমরা যেনো দেশে আনতে পারি। এদিকে হারুনের এই মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তার বাড়িতে ভিড় করছে প্রতিবেশীরা।