প্রতিনিধি
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৩নং হানারচর ইউনিয়নের গোবিন্দিয়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির অস্টম শ্রেণীর ছাত্রী বিলকিস অপহরণ ঘটনার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুরাণবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এ.বি.এম কিবরিয়া বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামীকে আটক করেছে।
মোল্লা বাড়ির মুহাম্মদ আলী মোল্লার অস্টম শ্রেণী পড়–য়া কিশোরী কন্যা বিলকিসকে একই এলাকার গাজী বাড়ির মোঃ হানিফ গাজীর ছেলে ফারুক গাজী তার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে নানাভাবে তাকে জ্বালাতন করতো। গত ১৮ জানুয়ারি ফারুক গাজী (২২) তার বন্ধু বান্ধব নিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিলকিসকে জোরপূর্বক সিএনজি স্কুটারে তুলে নিয়ে যায় বলে মামলার অভিযোগকারী বিলকিসের পিতা অভিযোগে উল্লেখ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুরাণবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এ.বি.এম কিবরিয়া অভিযান চালিয়ে বিলকিসকে বাগাদী চৌরাস্তা এলাকার ফারুক গাজীর মামার বাড়ি থেকে গত ২১ জানুয়ারি উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত বিলকিসকে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেয়। ঐ দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অপরণ ঘটনার হুতা ফারুক গাজীকে ধরার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। ঐ কৌশল প্রয়োগ করে রাত ১১টায় ফারুক গাজীকে চাঁদপুর শহরের ট্রাক রোডস্থ মস্তান বাড়ি থেকে আটক করে। আটক ফারুক গাজী জানায়, বিলকিসের সাথে ৬ বছর পূর্ব থেকে তার পরিচয়। ৩ বছর ধরে তাদের মন দেয়া-নেয়া চলছিল। বিলকিসের পরিবার বিলকিসকে মারধর করলে সে তার কাছে চলে আসে। তারা বাগাদী এলাকার জনৈক কাজীর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে বলে জানায়। কিন্তু বিয়ের কোন কাগজ পত্রই সে দেখাতে পারেনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ.বি.এম কিবরিয়া অপহরণ মামলার প্রধান আসামী হিসেবে ফারুক গাজীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাটিয়েছে।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৫ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।