চাঁদপুর শহর ও জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে শহরের বড়স্টেশন, বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও পার্কে বেহায়াপনাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সচেতন মহল মনে করেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের প্রতি খোঁজ-খবর নেয়া জরুরি। তাদের সন্তানরা ঠিকমতো প্রতিদিন স্কুল-কলেজে যাচ্ছে কিনা বা সবগুলো ক্লাশে অংশ নিচ্ছে কিনা, তা প্রতিদিন খোঁজ নেয়া খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা বেপরোয়াভাবে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা নানা অজুহাত দেখিয়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়ায়। শুধু তাই নয়, প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী স্কুল ও কলেজ পোশাক পড়ে একসাথে বসে ধুমপানও করে। আর এই চিত্র খুব সহজে দেখা মিলে চাঁদপুর বড়স্টেশন মোহলেডে।
প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এখানে ঘুরতে আসে। তারা মোলহেড এলাকায় খুবই বেপরোয়াভাবে ঘুরতে থাকে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রতিনিয়ত তাদের সেখানে দেখা মিলে। প্রতিদিন লাকসাম থেকে আসা ডেম্যু ও সাগরিকা ট্রেনের ছাদে করে শিক্ষার্থীরা মোলহেডে ঘুড়তে আসে। আর অন্য উপজেলার শিক্ষার্থীরা সিএনজি বা বাসে করে আসে।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় চাঁদপুর মোলহেডে গিয়ে দেখা গেছে হাজীগঞ্জ মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের ১২ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী একত্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে মোলহেডে একত্রে বসে ধুমপানও করতে থাকে। হাজীগঞ্জ মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নবম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রই বেশি দেখা গেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন জানায়, স্কুলের ক্লাস শেষ করেই মোলহেডে ঘুরতে এসেছে। আবার কেউ বলে তারা আজ ক্লাসেই যায়নি।
মোলহেডে আসা কয়েকজন জানান, শিক্ষার্থীদের ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার কারণে তারা পরীক্ষার ফলাফল খারাপ করছে। আর ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঘুরতে আসার জন্য স্কুল ও কলেজের শিক্ষকরাই দায়ী। তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা থেকে ঝড়ে পড়ছে।
মোলহেডে এসে দেখা যায়, তারা দলবদ্ধভাবে বেপরোয়া চলাফেরা করছে। তারা প্রত্যেকেই ধুমপানে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এখনই এসব পথ থেকে ফিরিয়ে না আনা গেলে তাদের আর পড়াশুনায় মনোযোগী করা যাবে না।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু সাঈদ বলেন, হাজীগঞ্জ মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বেপরোয়া ঘুরে বেড়ায়, তা আগে আর কেউ আমাকে বলেনি। তবে প্রমাণসহ পেলে সব শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।