প্রতিনিধি
শহরের হকার্স মার্কেটের ৩১ নং দোকান মিনি গিফট কর্ণারের স্বত্তাধিকারি নারী নির্যাতন মামলার আসামী ওয়ারেন্টভুক্ত মাইনুদ্দিন পাটওয়ারীকে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ। আজ সোমবার বিকাল ৪ টায় মডেল থানার এএসআই নন্দন সরকার হকার্স মার্কেটে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
জানাযায়, ঢাকা আদালতে দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার পলাতক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মাইনুদ্দিনকে অবশেষে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গত ২০০৭ সালের চান্দ্রা ইউনিয়নের সকদি রামপুর পাটওয়ারীর বাড়ীর মাইনুদ্দিন পাটওয়ারীর সাথে চাঁদপুর মিশন রোডের ভাড়াটিয়া সুমি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী মাইনুদ্দিনকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতো। সাংসারিক জীবনে তাদের শাদ নামে ৪ বছরের একটি শিশু রয়েছে। মাইনুদ্দিন তার শিশু শাদ ও স্ত্রীকে নিয়ে বিপনিবাগ একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
মাইনুদ্দিন এর কাছে স্ত্রী সুমি আক্তার বিভিন্ন সময়ে টাকা চাইলে যদি মাইনুদ্দিন টাকা দিতে অস্বিকার করতো তা হলে স্ত্রী সুমি আক্তার স্বামীকে বেদম পিটিয়ে আহত করতো কিন্তু লজ্বায় কোনো লোকের কাছে মাইনুদ্দিন এ কথা প্রকাশ করতেন না।
সুমি বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে বেপোরোয়া ভাবে গুরা ফেরা করতো এবং ছেলে বন্ধুদেরকে নিয়ে বাসায় আড্ডা দিতো এব্যাপারে স্বামী মাইনুদ্দিন স্ত্রী সুমিকে কিছু বল্লেই দুজনের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি হতো এবং স্বামীকে মারতো,
আরো জানাযায়,ব্যাংক কলোনিতে যখন তারা ভাড়া থাকতো তখন স্ত্রী তার বন্ধুসহ বেশ কয়দিন মাইনুদ্দিন আপত্তিকর অবস্থায় পেয়েছে তারপর বাড়ীওয়ালা তাদেরকে বাসা ছেড়ে দিতে বল্লেই তারা বিপনী বাগ বাসা ভাড়া নেয় ।সুমি সব সময় স্বামী মাইনুদ্দিনকে বলতো তুমি যদি আমার স্বাধীনতা নিয়ে বেশী কথা বলো তাহলে আমি তোমাকে জেলের ভাত খাওয়াবো
এ নিয়ে উভয়ের মাঝে বেশ কয়েকবার সংসারে বাক বিতন্ডা হলে বেড়ানোর নাম করে ঢাকায় বাবার বাড়ীতে সুমি চলে যায়।দুজনের এ সমস্যা নিয়ে স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েক বার সালিশ বসলেও স্ত্রী সুমি সালিশে উপস্খিত হয়নি, তাই সালিস সমাধান করতে পারেনি জনপ্রতিনিধিরা ।মাইনুদ্দিনের প্রতিবেশীরা এসব খবর সবাই জানে,তাই সকলেই মনে করেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন প্রয়োজনীয় তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।